৯ ম্যাচের ৮ ইনিংসে ১টি শতরান ও ৪টি অর্ধশতরান-সহ ৩৬২ রান। বল হাতে ১৫টি উইকেট। এমন পারফর্ম্যান্সের পর যুবরাজ সিং ছাড়া ২০১১ বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার বেছে নেওয়া আর কাউকেই সম্ভব ছিল না।
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের এক দশক পূর্তিতে টুর্নামেন্টের সেরা যুবরাজ নিজের পারফর্ম্যান্সের দিকে তাকিয়ে আপ্লুত হতেই পারেন। তবে যুবি জানেন, টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ছিল দলগত প্রচেষ্টার ফসল।
ভারতের দ্বিতীয়বার ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়ের ঠিক দশ বছর পর যুবি ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে ফিরে তাকালেন ২০১১-র ২ এপ্রিলের দিকে। তিন জানান, ‘২ এপ্রিল ২০১১, দিনটা বইয়ের পাতায় জায়গা করে নেয়, কারণ ইতিহাস তৈরি হয়েছিল সেদিন। দেশকে গর্বিত করার অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই।’
যুবি আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রেট কোচ গ্যারি কার্স্টেনের অধীনে আমরা একজোট হতে পেরছিলাম। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জাগাতে পেরেছিলেন কার্স্টেন, যেটা আমাদের চ্যাম্পিয়নের পথে টেনে নিয়ে যায়।’
ভিডিওয় যুবরাজ বলেন, ‘১০ বছর হয়ে গেল আমরা শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছি। সময় কত তাড়াতাড়ি গড়িয়ে যাচ্ছে। গোটা দল চেয়েছিল যে কোনও মূল্যে বিশ্বকাপ জিততে। বিশেষ করে সচিনের জন্য আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। আমরা জানতাম এটাই ওর শেষ বিশ্বকাপ। তাছাড়া আমরা চেয়েছিলাম ঘরের মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে, যেটা কোনও দল তখনও করে দেখাতে পারেনি।’
যুবরাজ ভিডিওয় ধোনি থেকে গম্ভীর, জাহির, ভাজ্জি, প্রত্যেকের বিশ্বকাপ জয়ে কতটা অবদান ছিল, তার স্মৃতিচারণ করেন। করোনা আক্রান্ত সচিন, ইরফানদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেন তিনি। ভিডিওটির ক্যাপশনে যুবি লেখেন, ‘১০ বছর কেটে গেলেও বিশ্বকাপ তুলে ধরার স্মৃতি এখনও টাটকা। মনে হচ্ছে বুঝি গত কালই সবকিছু ঘটেছে।’