বল হাতে ফরিদ আহমেদ এবং ব্যাটে রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরানের দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের সুবাদে জিম্বাবোয়েকে পর্যদুস্ত করে দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ এবং তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ, দুইই জিতে নিল আফগানিস্তান। ২২৯ রান তাড়া করতে নেমে আট উইকেট হাতে রেখেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যান আফগানরা।
ম্যাচে প্রথমে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। রেজিস চাকাভা শূন্য রানে আউট হওয়ার পর ইনোসেন্ট কাইয়া এবং ক্রেগ আরভাইনের ওপর ইনিংস সামলানোর দায়িত্ব এসে পড়ে। ক্রেগ ৩২ রানে আউট হলেও কাইয়া নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। তিনি জিম্বাবোয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন। চতুর্থ উইকেটে সিকান্দার রাজা তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ৬৭ রানের বেশি এগোইনি পার্টনারশিপ। রাজার ৪০ ও শেষের দিকে রায়ান বার্লের ৫১ রানের সুবাদে জিম্বাবোয়ে ২২৮ রান তোলে।
আরও পড়ুন:- IPL-এ একটিও ম্যাচে মাঠে নামায়নি KKR, বল হাতে আফগানিস্তানকে জিতিয়ে উপেক্ষার জবাব দিলেন মহম্মদ নবি
আফগানিস্তানের হয়ে সফলতম বোলার ফরিদ। তিনি তিন উইকেট নেন। এছাড়া রশিদ খান, মহম্মদ নবি ও ফজলহক ফারুকি দু'টি করে উইকেট নেন। জবাবে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ইনিংসের তৃতীয় ওভারে চার রানে আউট হলেও, আফগানদের কোনও সময়ই চাপে দেখায়নি। ইব্রাহিম ও রহমত শাহ বাড়তি ঝুঁকি না নিয়ে, স্রেফ খারাপ বলগুলিকেই বাউন্ডারি পার পাঠিয়ে ম্যাচ জিতে যান। রহমত ৮৮ রানে যখন আউট হন, তখন আফগানদের জয়ের জন্য আর মাত্র ১৭ রানের দরকার ছিল। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ইব্রাহিম শতরান করে আফগানদের জয় সুনিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন:- আইপিএলের হ্যাংওভার এখনও কাটেনি রশিদের, জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে মারকাটারি ব্যাটিং আফগান তারকার
মাত্র চতুর্থ ওয়ান ডে ম্যাচ খেলা ইব্রাহিম ১৬টি চারের সহযোগে ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন। এটি তাঁর প্রথম শতরান। তাঁর ও রহমতের ১৯৫ রানের পার্টনারশিপ ওয়ান ডেতে আফগানদের সর্বকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। এই জয়ের ফলে সুপার লিগ তালিকায় আফগানরা আরও ১০ পয়েন্ট পেয়ে ৯০ পয়েন্টে পৌঁছে গেল। তারা আপাতত তৃতীয় স্থানে থাকলেও, শেষ ওয়ান ডে জিতলে ইংল্যান্ডকে টপকে বাংলাদেশের পরেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।