১ ওভারেই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিলেন রায়ান বার্ল। আর তাঁর খেসারত ম্যাচ হেরে দিতে হল বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে সিরিজও ২-১ জিতে গেল জিম্বাবোয়ে। ১২ বছর পর টেস্ট খেলিয়ে কোনও দেশের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় পেল জিম্বাবোয়ে।
এর আগে ২০১০ সালে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১-০ হারিয়েছিল জিম্বাবোয়ে। এর পর মঙ্গলবার (২ অগস্ট) বাংলাদেশরে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারাল তারা। মাঝে ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডকে তারা ২-১ হারিয়েছিল। তবে স্কটল্যান্ড টেস্ট খেলিয়ে দেশের মধ্যে পড়ে না।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে জিতেছে জিম্বাবোয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ আবার ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরায়।
এ দিনের ম্যাচে নাসুম আহমেদের চোখে সর্ষেফুল দেখিয়ে ১ ওভারে ৩৪ রান নেন রায়ান বার্ল। তবে খুব অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়ে গেল যুবরাজ সিং-এর ছয় ছক্কার রেকর্ড। নাসুমের ওভারে রায়ান ৫টি ছয় এবং ১টি চার মেরেছেন। প্রথম ৪ বলে চারটি ছক্কা, পঞ্চম বলে চার, ষষ্ঠ বলে ফের ছক্কা (৬-৬-৬-৬-৪-৬)। সেই সঙ্গে এই ১ ওভারের সৌজন্যে জিম্বাবোয়ে হালে পানি পায়।
আরও পড়ুন: ৬-৬-৬-৬-৪-৬- একটুর জন্য যুবরাজের রেকর্ড মিস করে গেলেন রায়ান বার্ল
১৪তম ওভারে ৬ উইকেটে মাত্র ৭৬ রান ছিল জিম্বাবোয়ের। সেখান থেকে ১৫তম ওভারে নাসুম ৩৪ রান দেওয়ায়, জিম্বাবোয়ের ইনিংস ১০০ রানের গণ্ডি টপকে যায়। ১৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তাদের স্কোর হয়ে যায় ১১০। যাইহোক নাসুমের ওভারে রায়ান বার্ল ৩৪ রান নিলেও, ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকাতে না পারার আফসোসটা তাঁর থাকবে।
দলগুলো সাধারণত বাঁ-হাতি ব্যাটারদের থেকে বাঁ-হাতি অফস্পিনারদের কেন দূরে রাখে, তার কারণটা এ দিন পরিষ্কার হয়ে গেল। বাংলাদেশ তা করেনি। যার মূল্য চোকাতে হয়েছে ম্যাচ হেরে।
বার্লের সেই ওভারের পর থেকে জিম্বাবোয়ে যেন অক্সিজেন পেয়ে যায়। ১৬তম ওভারে ১০ রান নেয় জিম্বাবোয়ে। ১৭তম ওভারে ১৭ রান নেয় তারা। ১৮, ১৯ এবং ২০ ওভার মিলিয়ে হয় মাত্র ১৯ রান। নির্দিষ্ট ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করে জিম্বাবোয়ে।
আরও পড়ুন: চোট পেয়ে জিম্বাবোয়ে সফর থেকে ছিটকে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, চলছে ক্যাপ্টেনের খোঁজ
রায়ান বার্লই জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান করেন। তিনি ২৮ বলে ৫৪ রান করে আউট হন। লিউক জংউই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ বলে ৩৫ করেন। বাংলাদেশের মেহেদি হাসান এবং হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। আর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসুম আহমেদ, মাহমুদুল্লাহ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ রান আফিফ হোসেনের তিনি ২৭ বলে ৩৯ রান করেন। এ ছাড়া ২৭ বলে ২৭ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। ২২ করেছেন মেহেদি হাসান। এর থেকেই স্পষ্ট বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বেহাল দশা। জিম্বাবোয়ের ভিক্টর নাউচি ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট নিয়েছেন ব্র্যাড ইভান্স।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।