টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতা ঢাকলেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাত ও আট নম্বরে নামা দুই ব্যাটসম্যানের সৌজন্যে বাংলাদেশ রানের বিপর্যয় কাটিয়েছে। হারারে টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাসের জুটি ইতোমধ্যেই টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের নজির গড়েছে।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে। অধিনায়ক মুমিনুল হক ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান ক্রিজে বড় স্কোর করতে পারেননি। দীর্ঘস্থায়ী সঙ্গী হিসেবে কাউকে না পাওয়া মুমিনুল ৭০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান, সেই সময়ে ৬উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশের দলগত রান ছিল ১৩২।
এরপর দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চা বিরতি পর্যন্ত তাঁরা আর কোনও বিপদ ঘটতে দেননি। তৃতীয় সেশনে অর্ধশতরান পূরণ করেন। এরপর সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যেতে থাকেন লিটন। টেস্ট দলে ফিরে আসার ম্যাচে অর্ধশতরান পূরণের পথে এগিয়ে যান রিয়াদও। দলীয় ২৭০ রানের মাথায় ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে লিটন আউট হলে ১৩৮ রানের এই জুটি ভেঙে যায়। টেস্টে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
তবে আর ৮ রান করতে পারলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সপ্তম উইকেটে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়তে পারতেন লিটন ও রিয়াদ। লিটন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক মাত্র ৫ রানের জন্য হাতছাড়া করলেন। সব মিলিয়ে টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড রয়েছে শাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নামে। ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই জুটি করেছিল ১৪৫ রান।
তবে এদিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ৮ উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশ করেছে ২৯৪ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৪ রানে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন তাসকিন আহমেদ, তিনি করেছেন ১৩ রান। এদিন ফের ফ্লপ শো দেখান শাকিব আল হাসান। মাত্র তিন রান করেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। জিম্বাবোয়ের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।