শুভব্রত মুখার্জি
জিম্বাবোয়ের হারারেতে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টে এখন পর্যন্ত যা খেলা হয়েছে তাতে অ্যাডভান্টেজ বাংলাদেশ তা বলাই বাহুল্য। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ম্যাচ জিততে জিম্বাবোয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৩৭ রান আর বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭ টি উইকেট। এই অবস্থায় দাড়িয়ে জিম্বাবোয়ে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস যখন শুরু করে তখন তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৭৭ রান।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ২০০ বছরের ইতিহাসে ওপেনার হিসেবে এক অনন্য নজির গড়লেন জিম্বাবোয়ের ওপেনার তাকুদওয়ানাশে কাইটানো।মিল্টন সুম্বাকে সঙ্গী করে কাইটানো ইনিংসের সূচনা করেন। সুম্বা আউট হয়ে যাওয়ার পরে ব্রেন্ডন টেলরের সাথে জুটি বেধে জিম্বাবোয়ের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। ব্রেন্ডন যখন একদিকে ঝড়ের গতিতে রান তুললেন তখন অপরদিকে ক্রিজে মাটি কামড়ে পড়ে রইলেন কাইতানো।
১০২ বলে ৭ রান করে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরলেন কাইটানো ততক্ষণে গড়ে ফেলেছেন এক অনন্য নজির। তিনিই টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ওপেনার যিনি তিন ডিজিট বল (১০০-র অধিক) অর্থাৎ ১০২ টি বল খেলে সিঙ্গেল ডিজিট রান অর্থাৎ ৭ রান (১০রানের কম) করার নজির গড়লেন।
উল্লেখ্য, কাইটানোর আগে এই নজির কোন দেশের কোন ওপেনারের নেই। রেকর্ড বই ঘাটাঘাটি করলে আমরা দেখতে পাব আর মাত্র ৭ জন ব্যাটসম্যানের এই নজির রয়েছে তবে তারা কেউ ওপেনার হিসেবে এই নজির গড়েননি। আসুন একনজরে দেখে নিন সেই অনন্য নজির স্থাপনকারীদের তালিকা :-
১) নেভিল (অস্ট্রেলিয়া), ২০১৬ পাল্লিকিলে বনাম শ্রীলঙ্কা , ৯রান ১১৫ বলে
২) নিল ওয়াগনার (নিউজিল্যান্ড), ২০১৮ ক্রাইস্টচার্চ বনাম ইংল্যান্ড, ৭ রান ১০৩ বলে
৩) রেকম্যান (অস্ট্রেলিয়া), ১৯৯১ সিডনি বনাম ইংল্যান্ড, ৯ রান ১০২ বল
৪) কাইটানো (জিম্বাবোয়ে), ২০২১ হারারে বনাম বাংলাদেশ, ৭ রান ১০২ বলে
৫) মিলার (ইংল্যান্ড), ১৯৭৮ মেলবোর্ন বনাম অস্ট্রেলিয়া, ৭ রান ১০১ বলে
৬) ডোডেমেইডে (অস্ট্রেলিয়া), ১৯৮৮ করাচি বনাম পাকিস্তান, ৮ রান ১০১ বলে
৭) মারে (ইংল্যান্ড), ১৯৬৬ সিডনি বনাম অস্ট্রেলিয়া, ৩ নট আউট ১০০ বলে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।