Swiggy Delivery Case: ২৪৮ টাকার স্ন্যাক্স ডেলিভারি নিয়ে সমস্যা। শেষ পর্যন্ত সমাধান হিসাবে সুইগি-কে ১১,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওযার নির্দেশ দিয়েছে ভাতিন্দার ভোক্তা বিরোধ ও প্রতিকার কমিশন।
বুধবার কমিশনের সভাপতি কানওয়ার সন্দীপ সিং এবং সদস্য শিবদেব সিং এবং পরমজিৎ কৌরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।
২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর। ভাতিন্দার থার্মাল কলোনির বাসিন্দা মোহিত গুপ্ত সুইগিতে একটি ভেজিটেবল রোল এবং একটি আফগান চ্যাপ রোলের অর্ডার করেছিলেন। ডেলিভারি চার্জ এবং GST সহ অর্ডারের মোট বিল ছিল ২৪৮ টাকা। মোহিত গুপ্ত অনলাইনে ১৪৮ টাকা পেমেন্ট করেন। ১০০ টাকার ডিসকাউন্ট কুপন পেয়েছিলেন।
মোহিত গুপ্ত বলেন, সুইগি দাবি করে যে তারা ৩০ মিনিটের মধ্যেই অর্ডার ডেলিভারি করবে। কিন্তু সেই অর্ডারটি সময়ে এলে পৌঁছোয়নি। রেগে গিয়ে মোহিত অর্ডার বাতিল করে দেন। কিন্তু অনলাইনে মাত্র ৭৪ টাকা ফেরত পান।
মামলায় মোহিতের আইনজীবী বরুণ বনসাল বলেন, অভিযোগকারীর বাকি টাকা কোনও যুক্তি ছাড়াই কেটে নেওয়া হয়।
কমিশনে সুইগির পক্ষের কৌঁসুলি বলেন, সুইগি নিজে খাদ্য বা পানীয়ের বিক্রেতা নয়। তারা নিজে থেকে খাবার বা পানীয় সরবরাহ করে না। তাই অর্ডার সরবরাহ সময় না হলে তার জন্য তাদের দায়ী করা যায় না। বরং সেটা রেস্তোরাঁ বা ডেলিভারি পার্টনারের দায়।
সুইগি আরও বলে যে, মোহিত পিক-আপ এবং ডেলিভারি পার্টনারের বারবার ফোন কলের জবাব না দেওয়ার পরেই অর্ডারটি বাতিল করা হয়েছিল। ডেলিভারি পার্টনার মোহিতের প্রদত্ত ডেলিভারির ঠিকানা সনাক্ত করতে পারেননি।
কমিশন সুইগির দাবি প্রত্যাখ্যান করে। অর্ডার দেওয়ার পরিষেবা প্রদান ছাড়া যে সুইগির কোনও ভূমিকা নেই, সেই দাবি মানেনি কমিশন।
সুইগি ডেলিভারি পার্টনারকেও সুইগি শনাক্ত করতে পারেনি। ফলে সত্যিই যে বারবার কল করা হয়েছিল, তা প্রমাণ করতে পারেন সুইগি।