শনিবার ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে 5G পরিষেবা চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির প্রগতি ময়দানে ষষ্ঠ ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে (IMC) 5G পরিষেবার সূচনা করেন তিনি। 5G-তে 4G-র তুলনায় আরও অনেক বেশি উচ্চ গতির ইন্টারনেট মিলবে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের চিত্রটাই পাল্টে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ১৩টি শহরে 5G চালু করছে Jio। সেগুলি হল আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দিল্লি, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, হায়দরাবাদ, জামনগর, কলকাতা, লখনউ, মুম্বই এবং পুনে। তার প্রথম ধাপ হিসাবে ৪টি শহরে 5G আসছে। সেগুলি হল দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই এবং চেন্নাই। এই শহরগুলিতে আগামী ২২-২৬ অক্টোবরের মধ্যেই 5G পরিষেবা এসে যাবে। আরও পড়ুন : PM launches 5G-ষষ্ঠীতে 5G পরিষেবার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী, আসছে কলকাতাতেও
তবে তার মানে এই নয় যে দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই এবং মুম্বইয়ে Jio নম্বর থাকলেই সবার 5G চালু হয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে শহরে কিছু কিছু অংশেই Jio 5G মিলবে। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লি বিমানবন্দর এখন 5G-রেডি। এই বিষয়ে ঘোষণাও করেছে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে নেট অন করলেই ৫জি -এই ব্যাপারটি বাস্তবায়িত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
এর আগে জিও তার বার্ষিক সভায় জানিয়েছিল যে, তারা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সকল প্রান্তে ৫জি চালু করতে চায়। ফলে আপনার ৫জি ডিভাইস কাজে লাগাতে হলে, আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।
অন্যদিকে ভারতী এয়ারটেলও জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যেই সমগ্র ভারতে 5G কভারেজ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের। এয়ারটেল এটিও জানিয়েছে যে, নেটওয়ার্ক সক্রিয় হয়ে গেলে, তাদের বর্তমান সিম কার্ডেই 5G মিলবে। খালি 5G ডিভাইস হলেই হবে।
শনিবার ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেসের প্রদর্শনীতে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে 5G-র পরিষেবা চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির এই প্রদর্শনীতে টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, প্রতিমন্ত্রী দেবুসিংহ চৌহান, রিলায়েন্স গোষ্ঠীর প্রধান মুকেশ আম্বানি এবং জিও-র চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি উপস্থিত ছিলেন। আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই ইভেন্ট। জিও সহ অন্যান্য সংস্থাগুলি বাণিজ্যিক ভাবে 5G শুরু করছে ভারতে।