সকল বেসরকারি সংস্থার কাছে আধার কার্ডের ফোটোকপি দেবেন না। তা অপব্যবহার করা হতে পারে। এমনই সতর্কবাণী দিয়েছিল কেন্দ্র। সেইসঙ্গে উপভোক্তাদের ‘মাস্কড আধার কার্ড’ (যাতে আধার নম্বরের শেষ চারটি ডিজিট থাকে) ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিতর্কের মুখে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।
গত শুক্রবার কেন্দ্রের পিআইবিতেএকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, যে সংস্থাগুলি ইউআইডিএআইয়ের (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) থেকে লাইসেন্স নিয়েছে, সেই সংস্থাগুলি কোনও ব্যক্তির পরিচয় প্রমাণের জন্য আধার কার্ড ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন: Aadhaar Card Download: রেজিস্টার্ড ফোন নম্বর ব্যবহার করেন না? তাও কীভাবে আধার কার্ড ডাউনলোড করবেন?
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, হোটেল, সিনেমা হলের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি আধার কার্ডের ফোটোকপি সংগ্রহ করতে বা রাখতে পারবে না। ২০১৬ সালের আধার আইনের আওতায় সেটা অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। যদি কোনও বেসরকারি সংস্থা আধার কার্ডের ফোটোকপি চায়, তাহলে ওই সংস্থার কাছে ইউআইডিএআইয়ের লাইসেন্স আছে কিনা, দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মাস্কড আধার কার্ড এবং তা কীভাবে ডাউনলোড করতে হয় (Masked Aadhaar card)?
মাস্কড আধার কার্ডে ১২ ডিজিটের আধার নম্বর থাকে না। বরং তাতে শেষ চারটি ডিজিট দেখা যায়। যা ইউআইডিএআইয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। যা আধার কার্ডের ফোটোকপির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
১) UIDAI-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://myaadhaar.uidai.gov.in/-তে যান।
২) নিজের আধার কার্ড নম্বর দিন।
৩) 'Do you want a masked Aadhaar' অপশন বেছে নিন।
৪) তারপর ডাউনলোড করে নিন মাস্কড আধার কার্ড। যাতে আধার নম্বরের শুধুমাত্র শেষ চারটি ডিজিট থাকবে।
যদিও বিতর্কের মুখে রবিবার সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইউআইডিএআইয়ের (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) বেঙ্গালুরু আঞ্চলিক অফিসের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে যে ফোটোশপ করা আধার কার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে অপব্যবহার রুখতে কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (লাইসেন্সহীন প্রতিষ্ঠান) কাছে আধার কার্ডের ফোটোকপি জমা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। সঙ্গে ‘মাস্কড’ আধার কার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই পরামর্শের ফলে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল, তা বিবেচনা করে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে আধার কার্ডধারীদের গোপনীয়তা সুরক্ষিত রাখার মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে বলে দাবি করা হয়েছে।