অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ খেয়ে আত্মহনন করছেন। ফেসবুকে ভিডিয়ো আপলোড করে নিজের শেষবার্তা জানিয়েছিলেন পশ্চিম দিল্লির ৪৩ বছর বছরের এক ব্যক্তি।
বিষয়টি সম্ভবত ওই ব্যক্তির ফ্রেন্ডলিস্টের কেউ রিপোর্ট করেন। তবে এ বিষয়ে ফেসবুকের AI-ও রয়েছে। পোস্টটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকের আয়ারল্যান্ডের দফতর থেকে দিল্লি পুলিশের সাইবার শাখায় যোগাযোগ করা হয়। পাঠানো হয় ভিডিয়োটি। সঙ্গে সঙ্গে তত্পর হয় দিল্লি পুলিশ। মিনিট ৪০-এর মধ্যে লোকেশন ট্র্যাক করে ফেলা হয়। যোগাযোগ চলতে থাকে ফেসবুকের আয়ারল্যান্ড দফতরের সঙ্গে।
এরপর ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে যায় রাজৌরি গার্ডেন থানার পুলিশ। অর্ধচৈতন্য অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে চলতি বছর অগস্টে দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে গিয়ে সেখানে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেন এক ব্যক্তি। সুইসাইড নোট পোস্ট করেন ফেসবুকে। সেবারেও ফেসবুক ও পুলিশের তত্পরতায় বাঁচে প্রাণ।
এমনটা দেখলে কী করবেন?
এমনটা কাম্য নয়। কিন্তু ফেসবুকে কোনও সুইসাইড নোটের পোস্ট, ছবি বা ভিডিয়ো দেখলে কী করবেন?
১. প্রথমেই রিপোর্ট করন। সুইসাইড-সেলফ হার্ম বলে একটি অপশন রয়েছে। তাতে ক্লিক করুন। এরপর ফেসবুক যাতে এটি দেখে, সেই অপশনে ক্লিক করুন।
২. সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে ১০০ ডায়াল করুন। কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানালেন, এর আগে এইভাবে ফেসবুক ফ্রেন্ডের ফোন কল থেকে আত্মহননের প্রচেষ্টা করা ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়েছে। আপনার দ্রুত কল একজনের জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে।
৩. কেউ নিয়মিত আত্মহননমূলক পোস্ট শেয়ার করলে তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলুন। প্রয়োজনে তাঁর পরিজনদের এ বিষয়ে অবগত করুন।