জুলাই ২০২২-এর সেলস রিপোর্ট প্রকাশ করল বাজাজ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬.৪৮% বেড়েছে বাজাজের আয়। মোট ৬টি টু-হুইলার রয়েছে বাজাজের ঝুলিতে। তবে, চাহিদা বাড়ার পেছনে ২টির-ই অবদান সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে ৪টি মোটরসাইকেলের চাহিদা আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, বাজাজের ইলেকট্রিক স্কুটারের বিক্রি এক বছরের মধ্যেই প্রায় ৩০০%-এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বাদ দিলে একমাত্র পালসার রেঞ্জের বাইকগুলির বিক্রি বেড়েছে। বাকি অন্য বাইকগুলি, যেমন প্লাটিনা, সিটি, অ্যাভেঞ্জার ও ডমিনারের বিক্রি আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে।
বিক্রি বৃদ্ধির নিরিখে শীর্ষে চেতক
পালসার ব্র্যান্ড অনেক পুরনো। কিন্তু এত বছর পরেও যেন একটুও ভাঁটা পড়েনি 'পালসার মেনিয়া'য়। বাজাজের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বাইকের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পালসার। গত মাসে ১,০১,৯০৫টি পালসার বিক্রি হয়েছে। জুলাই মাসে এই সংখ্যাটি ছিল ৬৫,০৯৪। অর্থাত্ আগের পছরের তুলনায় প্রায় ৩৬,৮১১টি পালসার বেশি বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের চাহিদা ৩১১.২৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে ৭৩০টি চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার বিক্রি হয়েছে। গত মাসে বিক্রি হয়েছে ৩,০০০ ইউনিট। অর্থাৎ এর ২,২৭২ ইউনিট বেশি বিক্রি হয়েছে।
জুলাই মাসে দাম বাড়ানো হয়েছিল
জুলাইয়ের আগে বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের দাম ছিল ১,৪১,৪৪০ টাকা। এখন সেটা বেড়ে ১,৫৪,১৮৯ টাকা হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, দাম ৯.০১% বেড়েছে। সব মিলিয়ে এখন ইলেকট্রিক চেতক কিনতে ১২,৭৪৯ টাকা বেশি খরচ করতে হবে। দাম বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও চাহিদা কমেনি এই স্কুটারের। উল্টে বিক্রি বেড়েছে।
বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক
>> চেতক ৩ kWh লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি দ্বারা চালিত। ৩.৮ kW বৈদ্যুতিক মোটর আছে। সর্বোচ্চ ৫.৫ PS শক্তি উৎপন্ন করে। ইকো মোডে সর্বাধিক ৯৫ কিলোমিটার এবং স্পোর্ট মোডে ৮৫ কিলোমিটারের রেঞ্জ দেয়।
>> ৫ Amp আউটলেটের মাধ্যমে ব্যাটারি ১০০% চার্জ করতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। ব্যাটারিতে ৩ বছর বা ৫০,০০০ কিলোমিটার ওয়ারেন্টি পাবেন।
>> অল-এলইডি লাইট (হেডল্যাম্প, ডিআরএল, টার্ন ইন্ডিকেটর, টেললাইট), ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক এবং ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার (ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্টফোন সংযোগ সহ) সহ রিজেনারেটিভ ব্রেকিং পায়।
>> ১২ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল পাবেন। সামনে ৯০/৯০ টায়ার এবং পিছনে ৯০/১০০ টায়ার (উভয়ই টিউবলেস)। সামনের চাকায় একটি লিডিং-লিঙ্ক-টাইপ সাসপেনশন আছে। পেছনের চাকায় একটি মনোশক সাসপেনশন পাবেন। রিভার্স গিয়ারের সুবিধাও রয়েছে।