রানসমওয়ার গ্রুপ ব্রেন সিফার এর আগে ডেলয়েট ইউকের উপর সাইবার হামলার দায় নিয়েছিল। ওই হ্যাকার গ্রুপের দাবি ছিল তারা প্রায় ১ টেরাবাইট সংবেদনশীল ডেটা চুরি করে নিয়েছে।
এদিকে সাইবার সিকিউরিটি নিউজের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সিকিউরিট প্রটোকল ভাঙা হয়েছে তার প্রমাণও তারা দাখিল করেছিল। এমনকী কর্পোরেট মেলের মাধ্যমে ডেলয়েটের প্রতিনিধিদের তারা ব্যক্তিগত আলোচনাতেও ডেকেছিল। তবে ডেলয়েটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল এই যে বলা হচ্ছে যে কোম্পানির একাধিক ক্লায়েন্টের সমস্যা হয়েছে এটা ঠিক নয়। ডেলয়েটের এক মুখপাত্র গোটা বিষয়টির ব্যাখা দিয়েছেন। তাদের দাবি, এই ক্ষতিগ্রস্ত সিস্টেমটি কোম্পানির প্রধান নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত নয়। ইনফোসিকিউরিটি ম্যাগাজিনে কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ডেলয়েটের কোনও সিস্টেমের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি।
ব্রেন সিফারের বিবৃতি অনুসারে তারা প্রায় ১ টেরা বাইট ডেটা চুরি করে নিয়েছিল। তার মধ্যে যে ডেটাগুলির কথা তারা উল্লেখ করেছে তার মধ্য়ে অন্য়তম হল…
সিকিউরিটি প্রটোকল ভঙ্গের প্রমাণ
ডেলয়েট ও তাদের ক্লায়েন্টদের সম্পর্কে চুক্তিগত সম্পর্ক।
ডেলয়েটের মনিটরিং সিস্টেম ও একাধিক সিকিউরিটি টুল
ক্লায়েন্টদের সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য
এদিকে হ্যাক হয়ে যাওয়া ওয়েবসাইট সম্পর্কে একাধিক তথ্য় সম্বলিত একটি স্ক্রিনশটও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ব্রেন সিফার জানিয়েছে, আমরা শীঘ্রই এই ঘটনা সম্পর্কে আপনাদের জানাব। যে তথ্য লিক করা হয়েছে তার একটা নমুনা আমরা দেখাব। এই চুরি যাওয়া তথ্যের পরিমাণ ১ টিবিরও বেশি।
এই ব্রেন সিফার কারা?
একাধিক হাই প্রোফাইল সাইবার হানার পেছনে রয়েছে এই ব্রেন সিফার। তার মধ্যে অন্যতম হল ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশানাল ডেটা সেন্টার। অন্তত ২০০টি সরকারি এজেন্সি এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার মধ্যে একটা বড় বিষয় হল ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট কন্ট্রোল সংক্রান্ত বিষয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে ডেলয়েটের প্রতিক্রিয়ার কথা জানা গিয়েছে।
কী জানিয়েছে ডেলয়েট?
এখনও পর্যন্ত ডেলয়েট ইউকে প্রকাশ্যে এই তথ্য চুরির বিষয়টি স্বীকারও করেনি। অস্বীকারও করা হয়নি। সাইবার সিকিউরিটির বিশেষজ্ঞরা গোটা বিষয়টির মনিটরিং করছে।
ডেলয়েটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে আমাদের কোনও সিস্টেমের উপর কোনও প্রভাবে পড়েনি। তবে যারা সাইবার হানা করেছিল বলে দাবি করেছে তারা এই তথ্য চুরির ব্যাপারে নানা ধরনের দাবি করেছে।