ঠিক ৫৫ বছর আগে চাঁদে পৌঁছেছিল অ্যাপোলো ১১। চাঁদে পৌঁছে যে স্থানে অ্যাপোলো অবতরণ করেছিল, সেই স্থানটিকেই এখন ভবিষ্যতের চাঁদের বাড়ি হিসাবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। আসলে, বিজ্ঞানীরা চাঁদে একটি গুহার অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছেন। এই জায়গাটি সেই জায়গা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। যে অঞ্চলে, মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন, প্রথমবার হেঁটে এসেছিলেন, সেই স্থানের কাছাকাছি রয়েছে এই গুহা। বিজ্ঞানীরা আবার বলেছেন যে এমনই আরও শতাধিক গুহা থাকতে পারে, যেখানে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা গিয়ে থাকতে পারবেন।
চাঁদে এই গুহার অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে
ইতালির বিজ্ঞানীদের একটি দল সোমবার জানিয়েছে, চাঁদে একটি বড় গুহার অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এটি অ্যাপোলো ১১ ল্যান্ডিং সাইট থেকে মাত্র ২৫০ মাইল অর্থাৎ ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে এই গুহা, চাঁদের ওই এলাকায় আবিষ্কৃত ২০০ টিরও বেশি অন্যান্য গুহার মতো একইরকম। মূলত একটি লাভা টিউবের পতনের ফলে গঠিত হয়েছিল এই গুহা। সবটা আরও খতিয়ে দেখার জন্য বিজ্ঞানীরা নাসার লুনার অরবিটার থেকে রাডার পরিমাপের একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ পরিচালনা করেছেন। এরপরেই তাঁরা যে ফলাফলগুলি দেখতে পেয়েছেন, সেগুলো পৃথিবীর লাভা টিউবের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর এই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে, বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে মহাকাশচারীরা ওই গুহায় গিয়ে নিরাপদে থাকতে পারবেন।
এটি ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের জন্য বাড়ি হয়ে উঠতে পারে
ইতালির ট্রেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত গবেষণার পরে, এই সত্যটি প্রকাশিত হয়েছে যে গুহাটি একটি খালি লাভা টিউব হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে এই গুহাটিই ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের জন্য প্রাকৃতিক আশ্রয়স্থল হয়ে উঠতে পারে। এমনকি চাঁদের কঠোর পরিবেশেও মহাকাশচারীরা এখানে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: (Cheap Recharge Plan: খুব সস্তায় এই প্ল্যান দিচ্ছে Jio, Airtel, Vodafone! কোন সিমে রিচার্জ করলে লাভ বেশি)
গুহাটি ১৩০ মিটার চওড়া হতে পারে
বিজ্ঞানীদের মতে, এই গুহাটি ১৩০ ফুট চওড়া হতে পারে। এটি কয়েক মিটার দীর্ঘও হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের গুহা আবিষ্কার করে বিজ্ঞানীরা চাঁদের গঠন সংক্রান্ত অনেক তথ্য পেতে পারেন। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে চাঁদের বেশিরভাগ গর্তই প্রাচীন লাভা সমভূমিতে অবস্থিত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা আরও বিশ্বাস করেন যে এমনই কিছু গর্ত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেও থাকতে পারে।