সরকারি ওয়েবসাইটের ইমেল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে সাইবার হানা। গত কয়েক বছরে ক্রমেই বেড়েছে এ ধরণের ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি আধিকারিকদের লগ ইন তথ্য হাতিয়ে পাতা হচ্ছে মারাত্মক হ্যাকিংয়ের ফাঁদ। সেদিকে নজর রেখেই এবার সরকারি আধিকারিকদের সাইবার সুরক্ষায় উদ্যোগী হল কেন্দ্র।
দেশের প্রায় ৩ লক্ষ সরকারি আধিকারিকের সাইবার সিকিউরিটি বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানালেন, 'মূলত টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মীদের আইডি-র সুরক্ষা বৃদ্ধি করা হবে। তাছাড়া ম্যালওয়ার অ্যাটাকের সম্ভাবনা এড়াতে প্রান্তিক ব্যবহারকারীর সচেতনতাও বৃদ্ধি করতে হবে।'
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (Two-factor authentication) কী?
এই সাইবার সুরক্ষা নীতিতে কোনও ব্যবহারকারী লগ ইনের সময়ে কড়া যাচাই করা হয়। শুধু আইডি আর পাসওয়ার্ড দিলেই ওয়েবসাইটে যে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীই লগ ইন করছেন কিনা তা যাচাই করতে দিতে হবে আরও কোনও প্রমাণ।
সাধারণত ব্যবহারকারীর রেজিস্টার্ড ফোন নম্বরে ওটিপি পাঠানো হয় লগ ইনের সময়ে। সেই ওটিপি দিলে তবেই লগ ইন সম্পূর্ণ হবে। ফলে, হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পেলেও কোনও ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবে না।
গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারি আধিকারিকদের নিশানা করে ফিসিং অ্যাটাকের খবর প্রকাশিত হয় হিন্দুস্তান টাইমসে। রিপোর্টে বলা হয়, সরকারি ডোমেইন নেমের অ্যাড্রেস ব্যবহার করে ভুয়ো ইমেল পাঠানো হচ্ছে আমলাদের। এভাবেই পাতা হচ্ছে হ্যাকিংয়ের ফাঁদ।
অন্যদিকে গত বছর মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকায় সাইবার হানার মাধ্যমে হঠাত্ই বিপর্যস্ত করে দেওয়া হয় বিদ্যুত্ সরবরাহ। এর পেছনে চিন-সহ একাধিক দেশের হ্যাকাররা জড়িত বলে জানায় মুম্বই পুলিশের তদন্তকারীরা। ফলে সাইবার সুরক্ষায় কোনও ফাঁক রাখচে নারাজ মোদী সরকার। সেই কারণে প্রাথমিকভাবে সরকারি আধিকারিকদের অনলাইন সুরক্ষা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।