চাঁদে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে। চন্দ্রযান-২-এর অরবিটারের এক্স-রে স্পেকট্রোমিটারের মাধ্যমে এই প্রথমবার সেটির ম্যাপিং করা হল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO এমনটাই জানিয়েছে। চন্দ্রযান-১-এর এক্স-রে ফ্লুরোসেন্স স্পেকট্রোমিটারের (C1XS) এক্স-রেতে এর আগে সোডিয়ামের উপস্থিতি চিহ্নিত করা হয়। সেটি থেকেই চাঁদে সোডিয়ামের পরিমাণ ম্যাপ করার সম্ভাবনার সূত্পাত।
'দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স'-এ প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, এই সাফল্য প্রকাশিত হয়েছে। চন্দ্রযান-২ এই প্রথমবার CLASS (চন্দ্রযান-২ লার্জ এরিয়া সফট এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার) ব্যবহার করে চাঁদে সোডিয়ামের প্রাচুর্যের ম্যাপ করেছে। শুক্রবার এই বিষয়ে বিবৃতি দেয় ইসরো। আরও পড়ুন : Sound In Space: মহাকাশের শব্দ টুইট করল NASA! শুনলে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে
'বেঙ্গালুরুতে ISRO-এর UR Rao Satellite Center-এ নির্মিত এই CLASS স্পেকট্রোমিটার। এটির উচ্চ সংবেদনশীলতা এবং কার্যক্ষমতার জন্য সোডিয়ামের স্তরের একেবারে স্পষ্ট হদিশ পাওয়া গিয়েছে,' বলা হয়েছে বিবৃতিতে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এই সিগন্যালের কিছুটা অংশ চাঁদের ধুলিকণার সঙ্গে দুর্বলভাবে আবদ্ধ সোডিয়াম পরমাণুর পাতলা ব্যহ্যাবরণ থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
এই ধরণের সোডিয়াম পরমাণুগুলি সৌর বায়ু বা অতিবেগুনি বিকিরণের মাধ্যমে পৃষ্ঠের বাইরের দিকে এগিয়ে আসতে পারে। তারা যদি চন্দ্রের খনিজের অংশ হত, তাহলে সেই সম্ভাবনা কম ছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পৃষ্ঠের সোডিয়ামের একটি দৈনিক পরিবর্তনও দেখানো হয়েছে। এটি এক্সোস্ফিয়ারে ক্রমাগত পরমাণুর সরবরাহ করে। আরও পড়ুন : আরও বেশি দ্রুত ঘুরছে পৃথিবী! মারাত্মক প্রভাবের আশঙ্কা
ইসরো বলছে, 'চন্দ্রযান-২ থেকে প্রাপ্ত নতুন এই আবিষ্কারগুলি চাঁদের পৃষ্ঠ-এক্সোস্ফিয়ারের মিথস্ক্রিয়ার গবেষণায় এক নয়া দিগন্ত খুলে দেবে। এটি আমাদের সৌরজগতে এবং তার বাইরে পারদ এবং অন্যান্য পদার্থের ক্ষেত্রে অনুরূপ মডেল তৈরিতে সহায়তা করবে।