কয়েক মাস আগেই শুক্রগ্রহের উপর ভাসমান মেঘে প্রাণের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে এক গবেষণা। সেই সম্ভাবনাই নস্যাত্ করলেন ব্রিটেনের বেলফাস্টের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁরা জানালেন, প্রাণের উদ্ভব হওয়ার মতো আর্দ্রতা শুক্রের মেঘে নেই। নেচার অ্যাস্ট্রনমি জার্নালে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগের গবেষণায় বলা হয় যে, শুক্রগ্রহের মেঘে ফসফিন রয়েছে। ফসফিন একটি ফসফরাস অ্যাটম এবং তিনটি হাইড্রোজেন অ্যাটমেপ সমন্বয়ে তৈরী হয়। এই ফসফিনের অস্তিত্বই ইঙ্গিত করে যে শুক্র গ্রহের বায়ুমন্ডলে অণুজীব থাকতেও পারে। পৃথিবীতে ফসফিনের উপস্থিতি প্রাণের স্পন্দনের সঙ্গে জড়িত। এর কারণ, কম অক্সিজেন থাকা স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে যেমন ডোবা-জঙ্গলে অণুজীবের অভাব নেই।
বেলফাস্টের গবেষকরা জানান, শুক্রের মেঘের বিষয়ে তাঁরা গবেষণা চালান। তাতে দেখা যায় বেশিটাই সালফিউরিক অ্যাসিড ও অতি সামান্য পরিমাণে জল। তাঁরা এই ধরণের পরিবেশে বসবাস করতে পারবে এমন কোনও অণুজীব রয়েছে কিনা তা তালিকা ধরে খোঁজেন। কিন্তু এমন কোনও অণুজীবই নেই যা এতটা একস্ট্রিম পরিবেশে বাঁচবে।
নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি সম্প্রতি শুক্র গ্রহে তিনটি অভিযানের ঘোষণা করে। তার মধ্যে একটির উদ্দেশ্য শুক্র গ্রহের বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা। সেখান থেকে বিস্তৃত তথ্য পেলে এ বিষয়ে গবেষণা আরও এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পৃথিবীর মতোই টেকটনিক সঞ্চালন লক্ষ্য করা গিয়েছে শুক্র গ্রহে। ন্যাশানাল অ্যাকাদেমি অফ সায়েন্সেস (National Academy of Sciences)-এর জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সেই গবেষণা।