ক্রিপ্টোকারেন্সি যাতে অপরাধীদের হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য বিভিন্ন দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে মোদী সতর্কতা করেছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির ফলে ভুলপথে চালিত হতে পারে যুব সম্প্রদায়।
বৃহস্পতিবার ‘সিডনি ডায়লগ’-এ ভার্চুয়াল ভাষণে মোদী জানান, ডিজিটাল যুগে সবকিছু পালটে যাচ্ছে। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজের নতুন সংজ্ঞা উঠে আসছে। সার্বভৌমত্ব, প্রশাসন, নৈতিকতা, মানুষের অধিকার এবং নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলি নিয়ে নয়া প্রশ্ন তুলছে ডিজিটাল যুগ। সেই পরিস্থিতিতে নয়া প্রযুক্তির প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করে মোদী জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তি তৈরির জন্য বিনিয়োগ করা হচ্ছে। টেলিকম ক্ষেত্রে 5G এবং 6G প্রযুক্তি চালুর জন্যও লগ্নি করছে ভারত।
‘পেগাসাস’ বিতর্কের মধ্যেই বৃহস্পতিবার মোদী দাবি করেন, মানুষের ক্ষমতায়নের অস্ত্র হিসেবে ডেটাকে ব্যবহার করছে ভারত। গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকে ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ভারতের দারুণ অভিজ্ঞতা আছে। তারইমধ্যে মোদীর ভাষণে উঠে আসে ক্রিপ্টোকারেন্সি। যা সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে মোদী বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক দেশ যাতে এই বিষয়ে একত্রিতভাবে কাজ করে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিপ্টোকারেন্সি যাতে ভুল হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। যা আমাদের শিশুদের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বৈঠক করেন মোদী। ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থাের জোগান নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে কোনও ব্যক্তিগত ডিজিটাল মুদ্রা তৈরি করা বা সেটিকে আইনি বৈধতা দেওয়া উচিত নয় সরকারের। বৈঠকে থাকা এক ব্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিযা (আরবিআই) ক্রিপ্টোকারেন্সির নেপথ্যে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রস্তুত। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আইনি বৈধতা দেওয়ার পক্ষে নয় আরবিআই। কারণ এই মুদ্রাগুলি অনিশ্চয়তায় ঘেরা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক। বেশিরভাগ সরকারী বিভাগ আরবিআইয়ের সঙ্গে একমত। কিন্তু তারা বিভিন্ন লবি গ্রুপের চাপের মধ্যে রয়েছে। যারা স্থিতিশীলতা চায়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ নেতৃত্ব।'