সম্প্রতি এক নাইজেরিয়ান নাগরিককে পাকড়াও করে দিল্লি পুলিশ। একাধিক হ্যাকিংয়ের ঘটনার যোগসূত্র ধরে ওই ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। জানা গিয়েছে, প্রথমে মেসেজে পাঠানো ভুয়ো লিঙ্কের ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ফোন হ্যাক করা হত। তারপর ফোনের মালিকের সমস্ত তথ্যাদি জেনে যেত হ্যাকার। তার ভিত্তিতে হোয়াটসঅ্যাপে ফোনের মালিকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে কনট্যাক্টসদের থেকে টাকা ধার চাইত সে। কখনও সরাসরি ফোনের মালিককেই মেসেজ করে ব্ল্যাকমেল করত। টাকা না দিলে ডার্ক ওয়েবে অ্যাকাউন্টের ডেটা বিক্রি, সম্পূর্ণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দেওয়ার হুমকি দিত সে।
অভিযুক্তের নাম চিমেলুম ইমানুয়েল অ্যানিওয়েটালু, ওরফে মরিস ডেগ্রি।
কিন্তু কীভাবে ম্যালওয়্যার কব্জা করত?
হ্যাক করার জন্য হাতিয়ার ছিল ম্যালওয়্যার। আর সেটা ছড়ানোর মাধ্যম ছিল ভুয়ো লিঙ্ক। কোনও নামী সংস্থা বা ইকমার্স সাইটের গিফট, অফার ইত্যাদির ভুয়ো লিঙ্ক তৈরি করা হত। 'উপহারটি পেতে ১০ জনকে ফরোয়ার্ড করুন,' জাতীয় মেসেজ আর কী!
সেই লিঙ্কে ক্লিক করার পরে, অথবা কোনও ভুয়ো অ্যাপ ইনস্টলের মাধ্যমে ফোনে হানা বসাতো বিভিন্ন ম্যালওয়্যার।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাইবার সেল) কেপিএস মালহোত্রা জানিয়েছেন, দিল্লি এবং বেঙ্গালুরু থেকে পুলিশ সমন্বয়ে কাজ করছিল। 'একজন ব্যক্তির কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমরা এর তদন্ত শুরু করি। অভিযোগকারীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে, মেসেজের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কাছে টাকা দাবি করা হয়। অন্যান্য কেসে ফোনের ডেটা নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পরে ওই ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইলও করেছিল অভিযুক্ত। আমরা একটি মামলা নথিভুক্ত করেছি এবং তদন্ত শুরু করেছি,' জানালেন তিনি।