জাল ডিম্যাট ও ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কোম্পানির সঙ্গেই প্রতারণার অভিযোগ। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, বিশ্বাসের জায়গাটা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বড়সড় বিপাকে পড়েছে ব্রোকিং ফার্ম জেরোধা লিমিটেড। এই ব্রোকিং ফার্মের সঙ্গে ২.৭৫ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছে বলে খবর। এ ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে সিআইডি ক্রাইম ব্রাঞ্চ। কেলেঙ্কারির বিষয়টি তদন্তাধীন। ব্রোকিং ফার্ম সাধারণ মানুষকে এই ধরনের প্রতারকদের এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: (Cyber Fraud: '০' ডায়াল করতেই উধাও ৯ লক্ষ টাকা, সিবিআই সেজে রেলকর্মীর পকেট কাটল প্রতারকরা)
সিআইডি ক্রাইম ব্রাঞ্চ অনুসারে, সুরাটের কিষান সোনির বিরুদ্ধে জেরোধা লিমিটেড একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে কিষাণ প্রথমে জেরোধায় গ্রাহক হিসেবে যোগ দেন। তারপর ২০২০ সালে স্টক ব্রোকার হন। এর বিনিময়ে কমিশন পেতেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে, তিনি প্রায় ৪৩২টি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেখান থেকে তিনি ৫৫ লক্ষ টাকা কমিশনও পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায়, এই ব্যক্তির খোলা সব অ্যাকাউন্টই নাকি ভুয়ো। ভুয়ো ডিম্যাট ও ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কোম্পানির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কিষাণ।
এই আর্থিক কেলেঙ্কারি জানাজানি হয় কীভাবে
একদিন কোম্পানি দেখতে পায় যে কোম্পানিতে খোলা ৪৩২ অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৩৩২ অ্যাকাউন্টেই ডেবিট ব্যালেন্স ছিল। কিন্তু অ্যাকাউন্টধারীদের ডাকা হলে, অনেকেই সেই অ্যাকাউন্ট আর খুলতে রাজি হননি। সংস্থাটি যখন বিষয়টি ভালো করে তদন্ত করে। দেখা যায় যে ওই প্রতারক ব্রোকারের খোলা অ্যাকাউন্টগুলি জাল নথি ব্যবহার করে তৈরি করা। এই প্রতারণার কাজটি কিষান একা করেননি। বিহার থেকে ১৪ জনকে এই অ্যাকাউন্টগুলি চালাতে, ব্যবসায়িক কার্যক্রম করতে তিনিই সহায়তা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: (Saturn-like Earth Ring: আগে শনির মতো দেখতে ছিল পৃথিবী! বলয় নিয়ে ঘুরপাক খেয়েছে সূর্যের চারপাশে?)
কিষান এবং তার দল একটি ব্রোকারেজ ফার্মকে প্রতারণা করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রচুর ছোট ছোট লেনদেন করে, বড় অঙ্কের ব্রোকারেজ ফি আদায় করে। হিসাব করে দেখা গিয়েছে যে এই কেলেঙ্কারীর ফলে প্রায় ২,২০ কোটি টাকার কর এবং জিএসটি ফাঁকি হয়েছে কোম্পানির, যার ফলে মোট জালিয়াতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭৫ কোটি টাকায়৷ কোম্পানি প্রতিটি অ্যাকাউন্ট প্রায় ৭০,০০০ থেকে ৭২,০০০ টাকা করে হারিয়েছে। এখন মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি ক্রাইম ব্রাঞ্চ।