Google ঠিক কতটা ব্রাউজার তথ্য সংগ্রহ করে? এই নিয়ে তরজা নতুন নয়। সম্প্রতি সেই আগুনে ঘি দিয়েছে আরেক ব্রাউজার DuckDuckGo । সংস্থার দাবি, গুগল যা বলে, তার চেয়েও অনেক বেশি করে ব্যবহারকারীদের তথ্য জড়ো করে। আর তাই দিয়েই হয় মুনাফা। DuckDuckGo-র এই অভিযোগে ফের প্রশ্ন উঠছে গুগল ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি নিয়ে।
এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি টুইট করে DuckDuckGo। সেখানে লেখা হয়,
'বহু মাস ধরে এড়ানোর পর অবশেষে ক্রোম ব্রাউজার ও গুগল অ্যাপে কতটা তথ্য জমা হয়, তা প্রকাশ করল গুগল। আর তারা যে কেন এটা লুকিয়ে রাখতে চাইছিল, তা খুবই স্পষ্ট। ভাল ওয়েব ব্রাউজার বা সার্চ ইঞ্জিন তৈরির সঙ্গে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করার কোনও সম্পর্ক নেই।'
গুগল সম্প্রতি ব্রাউজারে এ গুগল অ্যাপে কতটা তথ্য সংগ্রহ করা হয় সেই তথ্য প্রকাশ করে। তার ভিত্তিতেই এই বিস্ফোরক টুইট করে DuckDuckGo ।
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেই যে গুগল এভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তা নয়। iPhone ব্যবহারকারীদেরও ফোনে গুগল অ্যাপে সমান হারে সংগৃহীত হয়।
কী ধরণের তথ্য সংগ্রহ করে গুগল?
রিপোর্ট অনুযায়ী লোকেশান ডেটা, ব্রাউজিং হিস্টরি, ইউজার আইডি, ডিভাইস আডি আইডেন্টিফায়ার, ক্র্যাশ ডেটা, পারফর্ম্যান্স ডেটা, ইউজারের অডিয়ো ডেটা ও কাস্টমার সাপোর্টের তথ্যাবলী, প্রোডাক্ট ইন্টারাক্শন ইউসেজ ডেটা, পেমেন্ট ইনফো ইত্যাদি সব গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত তথ্যই সংগ্রহ করে Google ক্রোম ব্রাউজার ।
একই গল্প Google Search App-এও। সেখানে লোকেশান ডেটা, সার্চ হিস্টরির পাশাপাশি, কনট্যাক্টস, ঠিকানা, ইমেল অ্যাড্রেস, ফটো-ভিডিয়ো এমনকি অটোফিল-এ থাকা পেমেন্ট ইনফরমেশনও সংগৃহিত হয়। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপণ সাজায় গুগল অ্যাডসেন্স। আর সেটাই সংস্থার মুনাফার অন্যতম উত্স।
গুগলের এই নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে DuckDuckGo ব্রাউজার। তাদের দাবি, DuckDuckGo ব্রাউজারে এ ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয় না মুনাফার জন্য। গোটা ব্যাপারটা মিলিয়ে এখন আলোচনায় সরগরম টেক দুনিয়া।