মহাকাশে গিয়ে খাবারের অভাবে ভোগেন মহাকাশচারীরা। পুষ্টির অভাব হয়। এখনও পর্যন্ত তৈরি করা সমস্ত প্যাকেটজাত খাবার খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের পুষ্টির মান হারিয়ে ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে মহাকাশে গিয়ে সুস্থ থাকাটাও কঠিন হয়ে উঠবে। বারছে উদ্বেগ। চাপ কমাতে, তাই এবার অনন্য আবিষ্কার করে বসলেন বিজ্ঞানীরা।
দীর্ঘমেয়াদী মিশনে মহাকাশচারীদের খাবারের সমস্যার কিছুটা সমাধানের খোঁজ মিলেছে। বিজ্ঞানীরাই দাবি করেছেন যে মহাকাশের গ্রহাণুই হয়ে উঠতে পারে মহাকাশচারীদের খাবারের সমস্যার সমাধান। গ্রহাণুতে উপস্থিত কার্বনকে খাবার যোগ্য করে তোলা সম্ভব। এগুলোর মাধ্যমে সত্যিই খাবার পাওয়া গেলে মঙ্গলের মতো দূরবর্তী গ্রহে মহাকাশচারী পাঠানো আরও সহজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: (Cyber Attack: ৩ কোটিরও বেশি পাসওয়ার্ড ও ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস! উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বড় সাইবার হামলা)
মিশিগান টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, মহাকাশচারীরা গ্রহাণু খেতে পারেন না ঠিকই। কিন্তু সেগুলো থেকে কার্বন বের করে খাদ্যে পরিণত করা যেতেই পারে। আসলে, গবেষকরা এখন প্লাস্টিক বর্জ্যকেও ভোজ্য খাবারে রূপান্তর করতে সফল হয়েছেন। এই প্রক্রিয়াটির নাম দেওয়া হয়েছে পাইরোলাইসিস, যাতে প্লাস্টিক তেলে রূপান্তরিত হয়। তারপরে তেলটি একটি বায়োরিয়েক্টরে ব্যাকটেরিয়াকে খাওয়ানো হয়, তা একটি পুষ্টিকর বায়োমাস তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে গ্রহাণু থেকে নির্গত কার্বনের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি ব্যবহার করা সম্ভব।
বর্তমানে, খাবারের সীমাবদ্ধতার কারণেই মহাকাশচারীদের মহাকাশ অভিযান একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত করতে হয়। এই প্রযুক্তিতে যদি সাফল্য পাওয়া যায়, তাহলে একটানা ৬০০ বছর ধরে মহাকাশ অভিযান চলতে পারে। কারণ, এর দরুণ মহাকাশযানে খাবার লোড করার সমস্যা সমাধান করা হবে। মহাকাশ অভিযানের খরচও কমতে পারে।
আরও পড়ুন: (Red Green Light Auroras: মহাকাশে এ কোন রহস্যময় আলো! ভিডিয়ো দেখিয়ে তাক লাগালেন NASA নভোচারী)
যদিও, সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, গ্রহাণু থেকে কার্বন বের করে খাদ্য হিসাবে খাওয়ার আগেও আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কারণ, এর প্রধান উদ্বেগ হল নিরাপত্তা। গ্রহাণু পদার্থ থেকে তৈরি জৈব পদার্থটি খাওয়ার আগে এটি বিষাক্ত কিনা, তা ভালো করে পরীক্ষা করতে হবে। বিজ্ঞানীরা তাই দাবি করেছেন যে শিলা থেকে কার্বন বের করার প্রক্রিয়ায় আরও গবেষণা প্রয়োজন।