যে কোনও বিদ্বেষমূলক কনটেন্ট দেখলেই তা রিমুভ করা হবে। বুধবার এমনই ঘোষণা করল ফেসবুক। চার রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত।
ভারত তথা বিশ্বজুড়ে নির্বাচনের সময়ে ফেসবুক বেশ উত্তপ্ত থাকে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ, ভুয়ো খবর-ছবি, মিথ্যা পোস্টে ছেয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। এর ফলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হন। সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক অশান্তির সৃষ্টি হয়। সুষ্ঠ নির্বাচনের ক্ষেত্রে যা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এই দিকে নজর রেখেই ভারতের ৪০ কোটি ব্যবহারকারীর উপর নজরদারি রাখবে ফেসবুক। সংস্থার পলিসি-বিরুদ্ধ কোনও কনটেন্ট যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
নয়া প্রযুক্তির মাধ্যমে অ্যালগরিদমে হেট স্পিচ-এর বিভিন্ন শব্দ স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই হবে। কোনও উষ্কানিমূলক মন্তব্য, ভিডিয়ো, ছবি বরদাস্ত করা হবে না।
সেই সঙ্গে ভারতে ইদানীং মারাত্মক হারে বেড়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। সাধারণত কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থনে এই ধরনের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই চলে বিদ্বেষমূলক প্রচার, প্ররোচনা। সেগুলিও বন্ধ করার ব্যাপারে উদ্যোগী ফেসবুক।
অন্য কোনও সংস্থা, অর্থাত্ থার্ড পার্টিকে রিপোর্ট হওয়া পোস্ট যাচাইয়ের দায়িত্ব দেবে ফেসবুক। সেখানে বাংলা, তামিল, অসমিয়া ও মালয়লাম-ভাষী ফ্যাক্ট চেকাররা পোস্টগুলির সত্যতা যাচাই করবেন। বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে যাতে কোনও ভুয়ো খবর না ছড়ায়, সে বিষয়ে সতর্ক জুকারবার্গের সংস্থা।
এর পাশাপাশি করোনার কারণে ভোট দিতে অনুত্সাহ দেওয়া হচ্ছে, এমন পোস্টও রিমুভ করবে ফেসবুক। 'ভোট দিতে গেলে করোনা হবে'- এ জাতীয় পোস্ট রিমুভ করা হবে।
একটি ব্লগ পোস্টে ফেসবুক জানায়, 'একটি ওয়াকিবহাল সমাজ গঠনে ফেসবুকের ভূমিকা আমরা জানি। তাই ফেসবুকে আমরা প্রত্যেককে ভোটাধিকারের বিষয়ে সচেতন করে তুলব। ফেসবুকে ভোটের দিনের রিমাইন্ডারও দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের উত্সাহিত করা ও সঠিক তথ্য দেওয়াই এর উদ্দেশ্য।'