মঙ্গলবার সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পেজে, ব্যক্তিগত স্ট্যাটাসে ঘুরছে একটিই খবর। '২৬ মে থেকে বন্ধ হতে পারে ফেসবুক, টুইটার।' কিন্তু সত্যিই কি তাই? এখনও পর্যন্ত কিন্তু এই খবরের কিন্তু কোনও ভিত্তিই নেই।
জল্পনার কারণ:
জল্পনার কারণটা অবশ্য উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর সূত্রপাত সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে কেন্দ্রের হুঁশিয়ারি থেকে। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের নয়া নীতিগুলি কার্যকর করার বিষয়ে মনে করিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এরপরেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এবার কি তবে ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি স্থগিত হয়ে যাবে? কেন্দ্রকে কোনও বৃহত্ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মই নয়া নীতি প্রণয়নের বিষয়ে কোনও আপডেট দেয়নি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক।
ফলে, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এবার কি তবে 'উপযুক্ত পদক্ষেপ' করা হবে?
যদিও উপযুক্ত পদক্ষেপ ঠিক কী হতে পারে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে, না, আপাতত বন্ধ হচ্ছে না ফেসবুক, টুইটার। মঙ্গলবার ফেসবুক, টুইটার কর্তৃপক্ষ জানায়, নয়া নীতি প্রণয়নের বিষয়ে সংস্থার অভ্যন্তরে কাজ চলছে। ফেসবুক যদিও এর আগেই ভলিন্টিয়ারি ভেরিফিকেশান, গ্রিভ্যান্স রিড্রেসাল ও ২৪ ঘণ্টায় ফ্ল্যাগড কনটেন্ট রিমুভ করার ব্যবস্থা করেছে।
এর জন্য যদিও কেন্দ্র গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মাস সময় দিয়েছিল। তবে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে, আরও কিছুটা সময় নিতে চাইছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি।
নয়া নীতি :
১. সংস্থাগুলিকে একজন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন এবং সর্বক্ষণের গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
২. কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করে দেওয়া যে কোনও কনটেন্ট ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে রিমুভ করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে।
৩. হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপের ক্ষেত্রে কোনও ভাইরাল মেসেজ প্রথম কে লিখে ছড়াতে শুরু করেছেন, তার হদিশ খুঁজে বের করা, অর্থাত্ মেসেজ ট্রেসিংয়ের সুবিধা আনতে হবে।
৪. সরকারের সঙ্গে সংস্থার কোনও আধিকারিকের যোগাযোগ রাখতে হবে। তিনি সরকারের বিভিন্ন নির্দেশ-আর্জি সংস্থার কাছে ব্যক্ত করবেন। প্রতি মাসে একটি কমপ্লায়ান্স রিপোর্ট পেশ করতে হবে।