বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ থেকে ভেসে আসছে রহস্যময় রেডিও সিগন্যাল। আট বিলিয়ন বছর পর এসেছে এই সিগন্যাল। বিজ্ঞানীরা আশা রেখেছেন, এই সিগন্যালের মাধ্যমে মহাবিশ্বের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে পারবেন।
এই রেডিও সিগন্যালটিকে এফআরবি (ফাস্ট রেডিও বার্স্ট) ২০২২০৬১০এ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি) হল সেই রেডিও সিগন্যাল বা রেডিও তরঙ্গ, যা বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বিরাট কৌতূহলের বিষয়। এই সিগন্যাল থেকেই হয়ত মিলতে পারে এলিয়েনদের খোঁজ।
আরও পড়ুন: (Ola Electric Scooter দেখে হতাশ গ্রাহক! প্ল্যাকার্ডে লিখলেন, ‘দয়া করে এটি কিনবেন না’)
ফাস্ট রেডিও বার্স্ট কী
ফাস্ট রেডিও বার্স্ট হল এক ধরনের রেডিও সিগন্যাল বা তরঙ্গ কিংবা সংকেত, যা মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ড স্থায়ী হয়। এটি সম্পর্কে প্রথম ২০০৭ সালে জানতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে, এর গোপন রহস্যের কারণে, এটি সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলেছে। ঠিক এমনই, একটি সাম্প্রতিক এফআরবি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল যে এটি মাত্র এক সেকেন্ডে যতটা শক্তি উৎপন্ন করেছে, তা পৃথিবীর সূর্য গত ত্রিশ বছর ধরে উৎপন্ন করতে পেরেছে।
ফাস্ট রেডিও বার্স্ট, মহাবিশ্বের রহস্য টেনে বের করার একটি বিশেষ সুযোগ করে দিয়েছে। সংকেতটি ঠিক এতটাই দূরত্ব থেকে এসেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এটি সম্ভবত অন্য কোনও গ্যালাক্সি থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এটি এমন কিছুর গোপনীয়তা ফাঁস করতে পারে, যা বিজ্ঞানীরা এখনও লক্ষ্যই করেননি। এই সিগন্যালটি খতিয়ে দেখার জন্য যে বিজ্ঞানীরা দিন রাত করে দিচ্ছেন, তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, ডঃ স্টুয়ার্ট রাইডার। এর জন্য উন্নত গবেষণা কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে।
কোথায় থেকে এল এই সিগন্যাল
এই ফাস্ট রেডিও বার্স্ট, কোথায় থেকে এসেছে বা উদ্ভূত হয়েছে তা জানতে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অস্ট্রেলিয়ান স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে পাথফাইন্ডার ব্যবহার করেছেন। ডক্টর রাইডার জানিয়েছেন যে এই পাথফাইন্ডারটি, সিগন্যাল আসলে কোথায় থেকে এসেছে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়। কিন্তু তদন্ত এখানেই থেমে থাকেনি। ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরির ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে, দলটি জানতে পেরেছে যে এই তরঙ্গের উৎস অন্য কোনও গ্যালাক্সি হলেও হতে পারে। কারণ, নতুন এফআরবি, এর আগে রেকর্ড করা এফআরবি উৎসের থেকে পুরনো এবং এটি আরও অনেক বেশি দূর থেকে এসেছে।