-'তুমি যা বলবে তাই করব।'
-'আমাকে আকাশের চাঁদটা এনে দিতে পারবে?'
ভালোবাসার মুহূর্তে অনেকেই প্রিয়তমার কাছে এমন আজব দাবি শুনেছেন। এরপর সামাল দিতে দেঁতো হাসি হেসেছেন। কিন্তু বাঁকুড়ার শুভজিৎ ঘোষ একটু অন্য ধাতুতে গড়া। স্ত্রী'র জন্য জন্মদিনে চাঁদ আনতে পারেননি বটে। তবে চাঁদের জমিই গিফট করলেন এই যুবক।
শুভজিৎ-এর বাড়ি বাঁকুড়ায়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনে কাজের সূত্রে নাগাল্যান্ডে থাকেন। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী রোমিলা হায়দরাবাদের এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। দু'জনে দেশের দুই প্রান্তে।
জন্মদিনের উপহার তাই হোয়াটসঅ্যাপেই পাঠালেন তিনি। ১৩ নভেম্বর স্ত্রীকে চাঁদের জমির শংসাপত্র হোয়াটসঅ্যাপ করেন তিনি। এমন গিফট পেয়ে একেবারে অবাক হয়ে যান রোমিলা।
এটা বিরল ঘটনা নয়
তবে চাঁদে জমি কেনা কার্যত অসম্ভব। ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের স্বাক্ষরিত আউটার স্পেস চুক্তি অনুসারে, চাঁদে জমি কেনাবেচার নিয়ম নেই। ভারত-সহ ১০৯টি দেশ এই মহাকাশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। তবে সেই চুক্তিতে দেশগুলির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তি শব্দটার উল্লেখ করা হয়নি। ফলে একক ব্যক্তি চাইলে কেনাবেচা করতে পারেন। তবে সেটা বলতে গেলে প্রতীকীই (তাছাড়া চাঁদে জমি থাকলেও খুব শীঘ্রই তো সেখানে বাড়ি বা খননের সম্ভাবনা নেই)। যদিও বিক্রয়কারী সংস্থার দাবি, দখলদারীর নীতি মানলে জমির মালিক হবেন তাঁরাই।
অর্থাত্ ১ বা ২০ একর(যেমন খরচ করবেন) জমি বলে আপনার নামে সার্টিফিকেট পাবেন। ঠিক কোথায় এই জমি তারও উল্লেখ থাকবে। দামও খুব বেশি নয়। Lunar Embassy-র মতো সংস্থায় এই সার্টিফিকেটের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ২,৪৯৯ টাকা থেকেই শুরু। এখনও পর্যন্ত ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ চাঁদে জমি কিনেছেন।