মার্চ আসতে না আসতেই বাড়ছে গরম। অনেকেই এসি চালাতে শুরু করে দিয়েছেন। অনেকেই আবার নতুন এসি কেনার পরিকল্পনা করছেন।
যত বেশি টনের এসি, তত ভাল?
এসি কেনার সময়ে প্রথমেই যে বিষয়টা দেখবেন তা হল সেটি কত টনের। আপনার ঘরের সাইজের উপর নির্ভর করে টন বাড়বে বা কমবে। তাই আগে ঘরের মাপ জানুন। এবার এসি কেনার সময়ে তার স্পেশিফিকেশনে দেখুন সেটি কত-বাই-কত আকারের ঘরের জন্য উপযুক্ত।
এসির সেটিংস কী রাখবেন?
আমাদের দেশের বেশিরভাগ স্থান গ্রীষ্মে উষ্ণ-আর্দ্র থাকে। সেই কথা মাথায় রেখেই এসির সেটিংস ঠিক করুন। সব এসিতেই একটি ড্রাই বলে অপশন থাকে। সেটি সিলেক্ট করে রাখুন। এর সঙ্গে কুল অপশন। এর ফলে দেখবেন ভ্যাপসা গরমের ভাবটা দ্রুত কমে যাবে। আর্দ্রতাজনিত অ্যালার্জির সমস্যাও কম হবে।
সার্ভিসিং কখন করাবেন?
সাধারণত শীতে অনেকদিন এসি চালানো হয় না। এই সময়ে এসির ভিতরে ধুলো-ময়লা, পোকামাকড় জমে। তাই গরমে চালানোর আগে এসি সার্ভিস করিয়ে নিন। এছাড়া নিজে নিজেই ২-৩ সপ্তাহ অন্তর এসির ফিল্টারের জাল একটি ভিজে ন্যাকড়া দিয়ে মুছে নিন।
এসির ঘর কেমন হবে?
সাধারণত শোবার ঘরেই সবাই এসি রাখেন। সেই ঘরে ছোটখাটো কিছু বদল আনলেই ঘর হবে আরও বেশি ঠান্ডা। লক্ষ্য রাখুন যাতে ঘরের দরজা-জানলায় বেশি ফাঁক না থাকে। সেখান দিয়ে ঠান্ডা বেরিয়ে যেতে পারে।
দরজার তলায় ফাঁক থাকলে একটি বড় পাপোশ দিয়ে চেপে দিন। আর জানলায় লাগান মোটা কাপড়ের পর্দা। এতে অনেকটাই লাভ হবে।