ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তুলল ইন্ডিয়া মহাজোট। তাদের বক্তব্য, শাসক দল বিজেপির সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর ক্যাম্পেনকে মদত দিচ্ছে মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুক। এর পাশাপাশি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটেও বিরোধীদের দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ এবং গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইকে চিঠি দিল ইন্ডিয়া জোট। চিঠিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। চিঠিতে ভারতে সামাজিক বৈষম্য প্রচার এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার জন্য ফেসবুককে দায়ী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'ইন্ডিয়া'র স্বার্থে কি বাংলায় লড়বে না কংগ্রেস? জবাব দিলেন অধীর
২৮টি রাজনৈতিক দলের ইন্ডিয়া জোট হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইউটিউবের বিরুদ্ধে শাসকদল বিজেপিরসাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রচারে সাহায্য করার অভিযোগ তুলছে। চিঠিতে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে কীভাবে বিজেপির নেতা কর্মীরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে বিভাজনমূলক প্রচার চালাচ্ছে। চিঠিতে আরেকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে ফেসবুক ও গুগলের কর্মকর্তাদের সরকারের প্রতি নরম মনোভাব গ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, ‘আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে আপনার প্ল্যাটফর্মে বিরোধীদের বিষয়বস্তুগুলি দমন করা এবং ক্ষমতাসীন দলের বিষয়বস্তুগুলি প্রচার করা হচ্ছে।’ চিঠিতে সতর্ক করা করে বলা হয়েছে, একটি বেসরকারি বিদেশি কোম্পানির এই ধরনের পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপ করে ভারতের গণতন্ত্রকে হস্তক্ষেপ করছে। এটা করা যায় না। যেহেতু আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত রয়েছে তাই এই অভিযোগগুলি গুরুত্ব সহকারে মার্ক জুকারবার্গকে বিবেচনা করতে বলেছে ইন্ডিয়া জোট। তাছাড়া, তাঁর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম যাতে নিরপেক্ষ থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছে ইন্ডিয়া জোট।
কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে চিঠিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, 'ভারতের গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করছে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে মেটার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিরপেক্ষ থাকার আবেদন করা হয়েছে।