উত্তরাখণ্ডের দেবস্থল অবসেভেটরিতে এশিয়ার বৃহত্তম লিকুইড মিরর টেলিস্কোপের স্থাপন করা হল। ইন্টারন্যাশনাল লিকুইড মিরর টেলিস্কোপটি (ILMT) প্রায় ২,৪৫০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে।
আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজারভেশনাল সায়েন্সেস (ARIES)-এর মালিকানাধীন দেবস্থল অবজারভেটরি ক্যাম্পাসের ILMT-ই হল জ্যোতির্বিদ্যার জন্য স্থাপিত বিশ্বের প্রথম লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ।
মহাবিশ্বের নানান জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপাদান পর্যবেক্ষণ করতে এই টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হবে।
প্রচলিত টেলিস্কোপগুলিতে একটি বা একাঝিক কার্ভড পৃষ্ঠের পালিশ করা কাঁচের আয়না থাকে। অন্যদিকে লিকুইড মিরর টেলিস্কোপগুলি প্রতিফলনকারী তরল(পারদ) দিয়ে তৈরি হয়।
লিকুইড মিরর টেলিস্কোপ কীভাবে কাজ করে?
ILMT-এর উল্লম্ব অক্ষ বরাবর একটি নির্দিষ্ট গতিতে ঘূর্ণীয়মান একটি বদ্ধ পাত্রে প্রায় ৫০ লিটার পারদ থাকে। বৃত্তাকার গতিবিধির কারণে, পাত্রের দেওয়ালে পারদ ছড়িয়ে পড়ে এবং একটি পাতলা স্তর গঠন করে। এটি একটি প্যারাবোলয়েড-আকৃতির প্রতিফলিত পৃষ্ঠ তৈরি করে, যা পরে আয়না হিসাবে কাজ করে। ৪ মিটার ব্যাসের এই পৃষ্ঠটি আলো সংগ্রহ এবং ফোকাস করার জন্য আদর্শ।
লিকুইড মিরর টেলিস্কোপের ব্যবহার
বেলজিয়াম, কানাডা, পোল্যান্ড এবং উজবেকিস্তানের সহযোগিতায় ভারত এটি স্থাপন করেছে। লিকুইড মিরর টেলিস্কোপটি বেলজিয়ামের 'অ্যাডভান্সড মেকানিক্যাল অ্যান্ড অপটিক্যাল সিস্টেম কর্পোরেশন' এবং 'সেন্টার স্প্যাশিয়াল ডি লিজে ডিজাইন' দ্বারা নির্মিত।
ILMT বিপুল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহে সাহায্য করবে। এটি এক রাতেই ১০-১৫ জিবি ডেটা সংগ্রহে সক্ষম। এর মাধ্যমে গ্রহাণু, সুপারনোভা, মহাকাশীয় ধ্বংসাবশেষ এবং অন্যান্য সমস্ত মহাকাশীয় বস্তু পর্যবেক্ষণ করা যাবে। আপাতত আগামী অক্টোবর থেকে এর কাজ শুরু হবে।