আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বসে মহা বিপদে পড়েছিল একজন ক্রু। চরম চিকিৎসা সংকটে ছিলেন তিনি। অন্তত নাসা থেকে সম্প্রতি লাইমস্ট্রিম হওয়া ক্লিপ এমনটাই জানিয়েছে। কিন্তু নাসার দাবি, ঠিক তার উল্টোটা। এটা নাকি সম্পূর্ণ ভুলবশত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে সামনে আসা একটি মেডিকেল ড্রিলটি নাকি ভুলবশত সম্প্রচারিত হয়েছে। যার সঙ্গে বাস্তবের নাকি কোনও মিল নেই। লাইভস্ট্রিমটি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সামাল দিতে, এখন নাসা একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে আইএসএসে কোনও জরুরি পরিস্থিতিই নেই।
নাসা ঠিক কী বলেছে
নাসার আইএসএস অ্যাকাউন্ট টুইটারে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে পোস্ট করেছে। নাসা লিখেছে, 'আইএসএস-এ কোনও চলমান জরুরি অবস্থা নেই। এই ক্লিপ অসাবধানতাবশত স্ট্রিম করা হয়েছিল। এটির মাধ্যমে সামনে আসা সমস্ত বিষয়বস্তুই একটি ট্রেনিংয়ের সময় ক্যাপচার করা। এটি অসাবধানতাবশত একটি চলমান সিমুলেশন থেকে ভুল করা হয়েছিল, ওই ক্রু সদস্য এবং গ্রাউন্ড টিম মহাকাশে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ট্রেনিং নিচ্ছিলেন তখন। নাসা আরও বলেছে যে আইএসএস ক্রু সদস্যরা আসলে ঘুমিয়ে ছিল যখন মেডিকেল ড্রিলটি অসাবধানতাবশত সম্প্রচার করা হয়েছিল। নাসা তাদের বিবৃতিতে এও বলেছে যে আইএসএস-এর সমস্ত মানুষ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং নিরাপদ।
আরও পড়ুন: (Water on earth: ৪০০ কোটি বছর আগেও পৃথিবীতে স্বাদু জল ছিল, জেনে নিন কী বলছে নতুন গবেষণা)
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন
সন্ধ্যে ৬:২৮ টা নাগাদ এই সম্প্রচার অনুযায়ী, একজন স্পিকার, যিনি একজন ফ্লাইট সার্জন হিসাবে মহাকাশ স্টেশনের ক্রুদের সঙ্গে আলোচনা করছেন যে কখনও কোনও কমান্ডারকে যদি, গুরুতর অসুস্থতার সম্মুখীন হন, তাহলে কী করা উচিত। ট্রেনিং দেওয়ার সময় তিনি ওই টিমকে একবার নাড়ি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়ার পরে, স্পিকার এক নভোচারীকে বিশুদ্ধ অক্সিজেনে ভরা একটি স্যুটের ভিতরে রেখেছিলেন। তাঁর কথায়, যে কোনও কাজ যখন হবে, সর্বোত্তম প্রচেষ্টার সঙ্গে হবে। কিছুই না করতে পারার চেয়ে এটাই ভালো। যদিও তিনি বলেছিলেন যে ঐ নভোচারীর অবস্থা গুরুতর।
তারপরে তিনি টিমকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই নভোচারীকে পোশাক পরিয়ে স্পেস স্টেশন থেকে বের করে নিয়ে যেতে হবে। কারণ, তাঁর দাবি, ডিকম্প্রেশন সিকনেসে ভুগছিলেন ওই নভোচারী। এই গুরুতর অসুস্থতা থেকে তাঁকে বাঁচাতে ওই স্পিকার টিমের কাছে স্পেনের সান ফার্নান্দোতে অবস্থিত হাইপারবারিক চিকিৎসার একটি হাসপাতালের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আর এই সম্প্রচারটি দেখেই নেটিজেনরা রেগে গিয়েছেন। এরপরেই নাসার দাবি, সবটাই ট্রেনিংয়ের অংশ ছিল।
এমনই ঘটনায়, নাসা জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি উড়িয়ে দেওয়ার পর আর্স টেকনিক্যালের সিনিয়র স্পেস এডিটর এরিক বার্গার আবার বলেছেন, আমি ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিশ্চিত করতে পারি যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কোনও জরুরি অবস্থা নেই। এটি একটি সিম ছিল, যেখানে কোনও ক্রু জড়িত ছিল না।