পুজোর আগে অনেকে নতুন ফোন নেন। জামাকাপড়, জুতোর বদলে ইলেকট্রনিক কিছুতে টাকা খরচ করেন। আর ফোনের ক্ষেত্রে অনেকেরই একটি অ্যাপেল ডিভাইস কেনার ইচ্ছা থাকে।
তবে সত্যি বলতে, ভারতে আইফোনের বিভিন্ন মডেলের দাম অত্যন্ত বেশি হয়। বিশেষত দিন দিন নতুন মডেলের দাম যেন আকাশছোঁয়া হয়ে যাচ্ছে। কারও বাজেটে সমস্যা না থাকলেও, ফোনগুলি ভ্যালু-ফর-মানি কিনা, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কারণ আইফোন 11,12,13,14-তে যে খুব বড়সড় পার্থক্য রয়েছে, তা বলা যায় না। অন্তত সাধারণ ব্যবহারকারীদের চোখে পড়ার মতো নয়। আরও পড়ুন : অপেক্ষার অবসান, লঞ্চ হল iPhone 14, জানুন ফিচার, দাম এবং অন্যান্য বিশদ
এক্ষেত্রে আপনার যদি একটু কম বাজেট থাকে, তাহলে চিন্তা নেই। 14-ই যে নিতে হবে, তার কোনও মানে নেই। কেন? কারণ iPhone 14 আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই iPhone 11-এর দাম অনেকটা কমে গিয়েছে। ফ্লিপকার্টে মাত্র ৩৫,৯৯০ টাকায় আইফোন ইলেভেনের ৬৪ জিবি মডেলটি বিক্রি হচ্ছে। অর্থাত্, ওয়ান প্লাস বা স্যামসাংয়ের ভাল অ্যান্ড্রয়েডের থেকেও কম দামে পাবেন আইফোন ১১।
তবে এখানেই শেষ নয়। চাইলে এই দাম আরও কমানো যাবে। কীভাবে? এক্সচেঞ্জ করলে আরও বেশ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কমতে পারে। তবে সেটা আপনার বর্তমান ফোনের অবস্থার উপর নির্ভর করছে। তবুও, সাধারণ কম বাজেটের ফোন হলেও, আরও ৩-৪ হাজার টাকা এক্সচেঞ্জ ভ্যালু পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে ৩৩ হাজার টাকার আশেপাশেই পেয়ে যাবেন সাধের আইফোন।
তাই, এবার থেকে কেউ আইফোনকে 'কিডনি ফোন' বলে মজা করলে পাত্তা দেবেন না! আইফোন এখন সবার সাধ্যের মধ্যেই। আরও পড়ুন : ১০ মাস আগে নদীতে হারানো আইফোন ফিরে পেলেন যুবক, চার্জ দিয়ে চালু করতেই চোখ ছানাবড়া
দামের বিষয়টি তো জানলেন। এবার জেনে নিন iPhone 11-এর স্পেসিফিকেশনস
- ৬.১ ইঞ্চি লিকুইড রেটিনা HD ডিসপ্লে
- ১২MP + ১২MP রিয়ার ক্যামেরা | ১২MP ফ্রন্ট ক্যামেরা- দুই ক্ষেত্রেই ৬০FPS-এ 4K ভিডিয়ো রেকর্ডিং হবে। ক্যামেরার মান নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।
- A13 বায়োনিক চিপ প্রসেসর। বেশিরভাগ সাধারণ গেম খেলা যাবে।