ISRO Success: সফল হল পরীক্ষা। এই প্রথমবার সম্পূর্ণ ভারতে তৈরি CE20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের হট পরীক্ষা সম্পন্ন করল ISRO। বুধবার গভীর রাতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এই সাফল্য অর্জন করে। ২১.৮ টন আপরেটেড থ্রাস্ট স্তরে LVM3-র জন্য CE20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের এই পরীক্ষা চালানো হয়।
ইসরো-র বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটির মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রোপেল্যান্ট বহন করা যাবে। আর তার ফলে LVM3 পেলোড ক্ষমতা ৪৫০ কেজি পর্যন্ত বাড়তে পারে। আরও পড়ুন: ISRO LVM-3: ইসরোর সবচেয়ে ভারী রকেট জুড়ল আরও এক সাফল্যের অধ্যায়! প্রশংসায় মোদী সমেত বিশিষ্টরা
'পূর্ববর্তী ইঞ্জিনগুলির তুলনায় এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে কিছু মূল পরিবর্তনগুলি করা হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল থ্রাস্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য থ্রাস্ট কন্ট্রোল ভালভের (TCV) প্রয়োগ করা। এই ছাড়াও ইঞ্জিনে এই প্রথম 3D প্রিন্টেড LOX এবং LH2 টারবাইন এক্সজস্ট কেসিং যোগ করা হয়,' বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে ইসরো।
ইসরো জানায়, এই পরীক্ষার সময় ইঞ্জিনটি প্রথম ৪০ সেকেন্ডের জন্য ~20t থ্রাস্ট লেভেলে চালানো হয়। তারপর থ্রাস্ট কন্ট্রোল ভালভ মুভ করে থ্রাস্ট লেভেল 21.8t-এ নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষার সময়, ইঞ্জিন এবং ফেসিলিটির কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক ছিল। প্রয়োজনীয় প্যারামিটারগুলি সফলভাবে স্পর্শ করা গিয়েছে।
এর আগে নভেম্বরের প্রথম দিকে হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্টে উঠে এসেছিল যে, ইসরো তার সবচেয়ে ভারী রকেট, লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-3-র বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার বিষয়ে কাজ করছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে দ্বিতীয় লঞ্চের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই LVM3 রকেটের সেমি-ক্রায়োজেনিক স্টেজের জন্য যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা সম্পন্ন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
'আমরা এই বিষয়ে আশাবাদী যে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চের মধ্যেই OneWeb-এর ৩৬টি স্যাটেলাইটের দ্বিতীয় ব্যাচের উৎক্ষেপণ করতে পারব। এর জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে,' নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন এক কেন্দ্রীয় আধিকারিক।
ইসরোর এই লঞ্চ ভেহিকেলটিকে GSLV Mk-III থেকে LVM-3 হিসাবে নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী লঞ্চ ভেহিকেল। LVM-3 একটি জিওস্টেশনারি কক্ষপথে(GTO) চার টন পর্যন্ত এবং পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে(LEO) ছয় টন পর্যন্ত মাল বহন করতে পারবে।
একবারের যাত্রাতেই আরও বেশি পেলোড বহন করা গেলে আরও বেশি মুনাফা বাড়বে ইসরোর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরোর এক গবেষকের মতে, 'একটি হাই-প্রপালসিভ SC120 এবং ক্রায়োজেনিক আপার স্টেজে অতিরিক্ত প্রপেলান্টের কারণে এটি GTO-র জন্য ৬ টন এবং LEO-এর জন্য ১০ টন পর্যন্ত পেলোড বৃদ্ধি করতে পারে।' আরও পড়ুন: Skyroot Space Launch: ভারতে প্রথম বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ হতে চলেছে
সেমি ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের কাজ বর্তমানে একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নানা যাচাইকরণের পরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্টেজ এবং ইঞ্জিন ডেভেলপমেন্টের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আপাতত টেস্ট স্ট্যান্ড তৈরি করা হচ্ছে। মহেন্দ্রগিরি লিকুইড প্রোপালশন সিস্টেম সেন্টারের টেস্টিং ফ্যাসিলিটিতে সাব-সিস্টেমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। LVM3 প্রকৃতপক্ষে একটি ত্রিস্তরীয় ভেহিকেল বলা যেতে পারে। এতে দুটি সলিড মোটর স্ট্র্যাপ-অন, একটি তরল প্রোপেলান্ট কোর স্টেজ এবং একটি ক্রায়োজেনিক স্টেজ রয়েছে।