Lauren Sánchez in Space: বড় জোর থাইল্যান্ড। দিঘা-দার্জিলিং করা আমজনতার তাতেই শান্তি। আর্থিকভাবে সফল ব্যক্তিদের যদিও আরও অপশন থাকে। কিন্তু সেই সবই এই নীল গ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই ধরিত্রী ছেড়ে বের হওয়ার সুযোগ খুব কম মানুষই পান। এতদিন তা মেধার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হত। তবে এখন সেটি অতীত। টাকার বিনিময়ে মহাকাশে বেড়াতে যান বিশ্বের অতি ধনী ব্যক্তিরা। আর সেই তালিকায় নাম উঠল ধনীতম ব্যক্তি আমাজন কর্তার গার্লফ্রেন্ডেরও। মহিলা সহযাত্রীদের নিয়ে একসঙ্গে মহাকাশে 'বেড়াতে' যাবেন লরেন সাঞ্চেজ। ২০২৩ সালের জন্য নিজের এই পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি।
আর তা হবে না-ই বা কেন। তাঁর বয়ফ্রেন্ডের নাম জেফ বেজোস। আমাজন কর্তার ঝুলিতেই রয়েছে বিশ্বের অন্যতম স্পেস ট্যুরিজম সংস্থা- ব্লু অরিজিন। তাতে চড়ে ২০২১ সালে ১১ মিনিটের জন্য মহাকাশে ঘুরে এসেছেন জেফ বেজোস। সেই ভিডিয়ো দেখতে হলে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।
এবার ধরুন আপনি অফিসের কাজে ২ দিনের জন্য মন্দারমনি ঘুরে এলেন। বাড়ি এসে স্ত্রীকে সেই ছবি দেখালেন। তিনিও তো তখন বেড়াতে যেতে চাইবেন! এই বিষয়টিও যেন তেমনই।
লরেন সানচেজ এক জন প্রাক্তন সাংবাদিক। সাংবাদিকতার জন্য প্রখ্যাত এমি পুরষ্কারও জিতেছেন তিনি। তবে বর্তমানে আমাজনের সমাজসেবামূলক কাজেই মনোনিবেশ করেছেন তিনি। সম্প্রতি জেফ বেজোস ও লরেন এক সাক্ষাত্কারে জানান, তাঁদের মোট সম্পদের সিংহভাগই সামাজিক খাতে দান করে যেতে চান। আপাতত সেই বন্দোবস্তের প্রক্রিয়াতেই আছেন তাঁরা। জেফ বেজোসের মোট সম্পদ ১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বিপুল সম্পদের জেরেই স্পেস ট্র্যাভেলের মতো অভিনব ব্যবসাতে বিনিয়োগের সাহস দেখাতে পেরেছেন বেজোস। তাঁর ধারণা, এটি যে অনেক যুগ পরের বিষয়, এমনটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। তাঁর জীবদ্দশাতেই মহাকাশ ভ্রমণ আমজনতার সাধ্যের মধ্যে এসে যাবে, আশাবাদী তিনি। এখন যদিও মহাকাশ ভ্রমণের টিকিট কোটি কোটি টাকার ব্যাপার। ঠিক কত টাকা খরচ?
গত বছর ব্লু অরিজিনের প্রথম বাণিজ্যিক উড়ানের জন্য সিট নিলাম করা হয়। তাতে ১৪০টি দেশের আগ্রহী ধনকুবেররা অংশ নেন। এরপর একটি সিট ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়। এখনকার বিনিময় হারে যা প্রায় ২২৭ কোটি টাকা।
সম্প্রতি 'ডুড পারফেক্ট' নামের এক ইউটিউব চ্যানেল মহাকাশ ভ্রমণে অংশ নেয়। চ্যানেলের এক ইউটিউবার মহাকাশে ঘুরে আসেন।