ভারতে ক্রমেই কমপ্যাক্ট SUV সেগমেন্টের চাহিদা বেড়েই চলেছে। গত কয়েক বছরে টাটা, হুন্ডাইয়ের মতো সংস্থাই এই সেগমেন্টে শীর্ষে ছিল। কিন্তু চলতি বছরে সেই বাজার ছিনিয়ে নিচ্ছে মারুতি সুজুকি। ছোট, এন্ট্রি লেভেল হ্যাচব্যাকেই ভরসা করার দিন শেষ। মারুতির লক্ষ্য SUV সেগমেন্টে বৃদ্ধি। আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগিয়ে চলেছে মারুতি। সফলও হচ্ছে সংস্থা। আর তার প্রমাণ মারুতি সুজুকির নতুন Brezza। বাজারে আনার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রির নিরিখে শীর্ষে এই গাড়ি। আগামিদিনে এই ব্রেজারই সিএনজি ভার্সান বাজারে আনতে চলেছে মারুতি সুজুকি। তবে ব্রেজা সিএনজির তথ্যাদি এখনও বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করেনি মারুতি। তবে ইতিমধ্যেই অটো পোর্টালে এই বিষয়ে নানা তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। আরও পড়ুন: পুজোর বাজার কাঁপাতে Grand Vitara আনল মারুতি! দাম অবিশ্বাস্য কম
Maruti Suzuki অবশ্য আগেই ২০১৬ সালে Brezza SUV চালু করেছিল। এরপর ২০২২ সালে গাড়িটির নয়া মডেল এনেছে মারুতি। তবে এই প্রথমবার ডবল ফুয়েল অপশন আসছে এই গাড়িতে। প্রাথমিকভাবে, ২০১৬ সালে শুধুমাত্র একটি ডিজেল মডেল হিসাবেই বিক্রি শুরু হয়েছিল। এরপর ২০২০ সালে একটি পেট্রোল ইঞ্জিনে সুইচ করা হয়েছিল। এখন মারুতি সুজুকি তার সিএনজি মডেল আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। Brezza খুব শীঘ্রই একটি CNG ভেরিয়েন্ট চালু করতে পারে। এটিই ভারতের প্রথম SUV হতে চলেছে, যাতে ফ্যাক্টরি-ফিটেড CNG কিট থাকবে।
ফাঁস হওয়া নথি অনুসারে, মারুতি সুজুকি ব্রেজা সিএনজি LXi, VXi, ZXi এবং ZXi+ সহ চারটি ট্রিমে মিলতে পারে। একটি ফাইভ স্পিড ম্যানুয়াল ইউনিট থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, এর সঙ্গে দেশের প্রথম সিএনজি-অটোম্যাটিক মডেলও চালু করতে পারে মারুতি। ফলে সিএনজি গাড়ির ট্রেন্ডে এক নয়া বিপ্লব আনবে মারুতি। LXi, VXi, ZXi এবং ZXi+ ভেরিয়েন্টগুলিও অটোম্যাটিক অপশন পাবে। CNG LXi ভেরিয়েন্ট বাদে সব ভেরিয়েন্টেই অটোমেটিক ট্রান্সমিশন থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আসন্ন এই Maruti Suzuki Brezza-তে ১.৫-লিটার, ফোর-সিলিন্ডার, K15C পেট্রোল ইঞ্জিন থাকবে। এটি 102bhp এবং 136.8Nm টর্ক উৎপন্ন করে। CNG মোডে, নতুন ভেরিয়েন্টের Ertiga-তেও এই একই ইঞ্জিনের সাথে দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে আরও বিশদে আগামী সপ্তাহে জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Ola S1 Air: অ্যাকটিভার মতো সস্তা, নতুন মডেল আনল OIa Electric
মারুতি সুজুকি সম্প্রতি S-Presso-এরও CNG ভার্সান লঞ্চ করেছে। এস-প্রেসো-কে নিয়ে বর্তমানে মারুতির সিএনজি লাইন আপে মোট ১০টি গাড়ি রয়েছে। এগুলির সবকটিতেই ডুয়াল-ইন্টারডিপেনডেন্ট ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট (ECU), ইন্টেলিজেন্ট ফুয়েল ইঞ্জেকশন সিস্টেম, স্টেইনলেস স্টিল পাইপ এবং জয়েন্ট, সিএনজি সিস্টেমের জন্য ইন্ট্রিগেটেড ওয়্যারিং হারনেস আছে। এস-সিএনজি সিস্টেমে একটি মাইক্রোসুইচ থাকে। এর মাধ্যে চালক এটি নিশ্চিত করতে পারেন যে, ইঞ্জিনটি বন্ধ রয়েছে। ফলে সিএনজি জ্বালানি ভরা চলাকালীন যাতে হঠাত্ ইঞ্জিন চালু না হয়, সেদিকে তিনি নজর রাখতে পারেন। এছাড়াও মারুতি সিএনজি ভেরিয়েন্টের গাড়িতে, সিলিন্ডারের অতিরিক্ত ওজন সামলাতে ব্রেক এবং সাসপেনশন সেটআপকে পুনরায় ক্যালিব্রেট করে। ব্রেজা সিএনজিতেও এই পরিবর্তনগুলি করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।