বায়ু দূষণ কমানোর জন্য, রেলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মারুতি সুজুকি। সংস্থাটি সম্প্রতি রেলওয়ের মাধ্যমে ২০ লক্ষ গাড়ি পাঠিয়ে বিরাট রেকর্ড গড়েছে। দেশের বৃহত্তম এই অটোমোবাইল নির্মাতা সংস্থাটি রেলওয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করে ভবিষ্যতে আরও নতুন রেকর্ড গড়ার পরিকল্পনা করছে।
ভবিষ্যতে দূষণ কমাতে কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে সংস্থাটি?
মারুতি সুজুকি রেলপথ ব্যবহার করে দুই লক্ষ যানবাহন পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। আর সবচেয়ে বিশেষ বিষয় হল মারুতি সুজুকিই হল ভারতের প্রথম অটোমোবাইল কোম্পানি, যারা এমন কীর্তি অর্জন করেছে।
মারুতি সুজুকি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬৫,৭০০ ইউনিট থেকে শুরু করে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দাঁড়িয়ে ৪৪৭,৭৫০ ইউনিট যানবাহন প্রেরণ করেছে, রেলপথের মাধ্যমেই। আসলে, রেলওয়ে মূলত যানজট মুক্ত হয়েই দ্রুত এবং নিরাপদ পরিষেবা দেয়। তাই এই যানবাহনগুলোকে রেলের মাধ্যমেই দেশের শহরে শহরে পাঠিয়ে দেওয়াও সহজ। তাই, আজ এই কোম্পানি ভারতীয় রেলপথ ব্যবহার করে ২০টি গন্তব্যে যানবাহন পাঠায়। ৪৫০ টিরও বেশি শহরে পরিষেবা দেয়।
কোম্পানির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন
এই কৃতিত্ব অর্জনের পর, মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হিসাশি তাকেউচি বলেছেন যে মারুতি সুজুকি ভারতের প্রথম কোম্পানি হয়ে উঠেছে, যারা রেলওয়ে ব্যবহারের জন্য ,এক দশকেরও বেশি আগে অটোমোবাইল-ফ্রেট-ট্রেন-অপারেটর লাইসেন্স পেয়েছে। তারপর থেকে, সংস্থাটি নিয়ম অনুসারে রেলপথ ব্যবহার করে যানবাহন প্রেরণ বাড়িয়েছে। গ্রিন লজিস্টিকসের মাধ্যমে, আমরা ১০,০০০ মেট্রিক টন সিও২ নির্গমন এবং ২৭০ মিলিয়ন লিটার ক্রমবর্ধমান জ্বালানী সাশ্রয়ের ক্রমবর্ধমান হ্রাস অর্জন করেছি। ২০৩০-৩১ অর্থবছরের মধ্যে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে চার মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত হবে। আমরা আগামী সাত থেকে আট বছরে যানবাহন প্রেরণে রেলওয়ের ব্যবহার প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। আর ২০৭০ সালের মধ্যে ভারত সরকারের নিট শূন্য নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করছি আমরা।
আরও পড়ুন: (Earth's Reason for One Moon: পৃথিবীর চাঁদ কেন একটাই? মহাকাশে যে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষের কথা জানতে পারলেন বিজ্ঞানীরা)
প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
এই বছরের শুরুর দিকে, পিএম গতি শক্তি প্রোগ্রামের অধীনে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সুজুকি মোটর গুজরাট (এসএমজি) প্ল্যান্টে ভারতের প্রথম অটোমোবাইল ইন- প্লান্ট রেলওয়ে সাইডিং উদ্বোধন করেছিলেন। নতুন এই প্লান্ট থেকে প্রতি বছর ৩ লাখ ৭ যানবাহন পাঠানো যাবে। আর মারুতি সুজুকির মানেসার প্ল্যান্টেও অনুরূপ সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে , যা শীঘ্রই শুরু হবে।