মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ছিল #whatsappdown। বহু ভারতীয় ব্যবহারকারীই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাতে, রিসিভ করতে পারছিলেন না। সেই সমস্যার সুরাহা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে এই বিভ্রাটের বিষয়ে বুধবার মেটার কাছে রিপোর্ট চাইল ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। হোয়াটসঅ্যাপকে ভারতীয় কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের(CERT-In) কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এটি ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি নোডাল সংস্থা। আরও পড়ুন: WhatsApp Partially Restored: META-র আশ্বাসের কিছুক্ষণ পরেই কিছুটা ছন্দে WhatsApp, তবে এখনও সমস্যায় অনেকে
নতুন কিছু নয়!
তবে এটি খুব নতুনত্ব কিছু ভাবার কোনও কারণ নেই। এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক এমনটাই জানালেন। 'যখনই কোনও বিভ্রাট হয়, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। এই ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের সমস্যা হওয়ায় মেটাকে তেমনটা করতে বলা হয়েছে,' জানালেন তিনি। দেশের বৃহত্ অংশের মানুষ এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত। হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে বহু মানুষের জীবিকা, আর্থিক লেনদেন, ব্যক্তিগত তথ্যও জড়িয়ে। সেই কারণে এই জাতীয় সমস্যার বিষয়ে সচেতন থাকেন কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞরা।
শুধু ভারতেই সমস্যা নয়
শুধু ভারতই নয়। মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী বেশ কিছু ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ অকেজো হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন। তাঁরা মেসেজ পাঠাতে বা রিসিভ করতে পারছিলেন না। অনেকে নিজের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে পারেননি। রিয়েলটাইম অনলাইন ক্র্যাশ মনিটর করার ওয়েবসাইট ডাউন ডিটেক্টরও এই সমস্যার কথা রিপোর্ট করে। সেখানে বলা হয়, ভারতীয় সময় বেলা ১২টা ২০ নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যা শুরু হয়। ব্রিটেন এবং সিঙ্গাপুর থেকে যথাক্রমে ৬৮ হাজার এবং ১৯ হাজার ব্যবহারকারী এই সমস্যার বিষয়ে রিপোর্ট করেন।
সমস্যার কারণ কী?
এর কারণ হিসাবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা জানিয়েছেন মেটার কর্তারা। মঙ্গলবার প্রকাশিত, সংস্থার এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির ফলে এই সংক্ষিপ্ত বিভ্রাটটি হয়েছিল। এখন তার সমাধান করা হয়েছে।' আরও পড়ুন: WhatsApp Not Working: সূর্যগ্রহণের দিনে WhatsApp-গ্রহণ! সম্পর্কটা কী? টুইটারে ভরে গেল সম্ভাব্য ‘উত্তর’
হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ব্যবসা, পেশাদার ক্ষেত্র এবং পরিবারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিভ্রাটের সময়ে অনেকে আপত্কালীন প্রয়োজনের জন্য টেলিগ্রামের মতো বিকল্প প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে শুরু করেন।