আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে পেট্রল-ডিজেলচালিত গাড়ির চেয়ে বৈদ্যুতিক যানবাহনই বেশি থাকবে। এমনই সম্ভাবনার কথা বললেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। মঙ্গলবার তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে একটি দেশীয় পুনর্নবীকরণযোগ্য অটোমোটিভ শিল্পক্ষেত্র গড়ে তোলাই সরকারের লক্ষ্য।
এইচটি অটো ইভি কনক্লেভে এমনটা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি সরকারের উত্সাহ ও সাহায্য প্রদানের বিষয়েও উল্লেখ করেন। অটোমোবাইল শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের ভারতকে 'বিশ্বের বৃহত্তম ইভি উত্পাদন ও সরবরাহ কেন্দ্র' হিসাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'ব্যাটারিচালিত বৈদ্যুতিক যান এবং ফুয়েল-সেল যান উভয়েই পরস্পরের পরিপূরক। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলচালিত যানের সংখ্যাই যে কম হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত ধরে নেওয়া যেতে পারে।' আগামী বছরগুলিতে ইভি পরিবহনকে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসাবে গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত যন্ত্রপাতি ও দেশের অভ্যন্তরে বিপুল চাহিদার তৈরির মাধ্যমেই এটি সম্ভব।'
গডকড়ি বলেন, একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তার ব্যাটারি। এটিই প্রাথমিক খরচের কমপক্ষে ৫০%। ফলে এই ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য, কেন্দ্র নয়া উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করছে।
তিনি বলেন, আমরা এর (লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির) বিকল্প যেমন জিঙ্ক-আয়ন, অ্যালুমিনিয়াম-আয়ন এবং সোডিয়াম-আয়ন ব্যাটারির জন্য গবেষণায় জোর দিচ্ছি। পুরনো যানবাহনের স্ক্র্যাপ থেকে কীভাবে কম খরচে কাঁচামাল পাওয়া সম্ভব, তাও উল্লেখ করেন তিনি। 'অ্যালুমিনিয়াম, লোহা এবং লিথিয়ামের মতো ধাতুও এভাবে পূনর্ব্যবহার করা সম্ভব,' জানান তিনি।
সরকার গত বছর পাঁচ বছরে অটোমোবাইল এবং অটো-কম্পোনেন্ট শিল্পে ৫,৭০০ কোটি টাকারও সাহায্যের প্রকল্প চালু করেছে। উন্নত সেল কেমিস্ট্রির ব্যাটারি স্টোরেজ তৈরির জন্য প্রায় ১৮,০০০ কোটি অনুমোদিত হয়েছে। গডকড়ি বলেন, 'এই সহায়তার মূল্য লক্ষ্য হল নতুন উদ্ভাবনে উত্সাহ প্রদান এবং ইলেকট্রিক যানবাহনের প্রাথমিক খরচ হ্রাস করা। 'আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যেই, ইভির ব্যাপক উৎপাদন হবে। আর তাতেই এখন পেট্রল-ডিজেল গাড়ির তৈরিতে যেমন খরচ হয়, তেমনই মূলধন খরচ করা হবে,' ব্যাখ্যা করেন তিনি।