চাঁদে নভোশ্চর প্রেরণের সময়সীমা প্রায় ১ বছর পিছিয়ে দিল নাসা(NASA)। মঙ্গলবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থার প্রধান এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান।
এর আগের সময়সীমা
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৪ সালের মধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে নভোশ্চর পাঠানোর ঘোষণা করেছিল। মিশনের নাম আর্টেমিস। এই আর্টেমিসকে আগামিদিনে আরও জটিল, মঙ্গল অভিযানের প্র্যাকটিস ম্যাচ হিসাবে দেখছে নাসা।
কেন পিছিয়ে দেওয়া হল?
নাসা আধিকারিক বিল নেলসন এ বিষয়ে জানান। তিনি বলেন, চাঁদে অবতরণের যান নির্মাণ নিয়ে স্পেসএক্স-এর সঙ্গে চুক্তি করছে নাসা। সেই চুক্তি নিয়েই নাসা-স্পেসএক্স-এর মধ্যে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সেই কারণে কাজে দেরি হচ্ছে। এটাই পিছিয়ে দেওয়ার কারণ।
নতুন টাইমলাইনের জন্য রয়েছে আরও কিছু কারণ। নেলসন বলেন, প্রশাসন এর আগে প্রোগ্রামটির জন্য খুব কম টাকা বরাদ্দ করেছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা প্রযুক্তিগতভাবে বাস্তবসম্মতও ছিল না।
কোভিড লকডাউনও কাজে বিলম্বের কারণ বলে জানান তিনি।
নাসা-স্পেসএক্স-ব্লু অরিজিন-এর ত্রিকোণ লড়াই
চাঁদে অবতরণের যান তৈরির চুক্তি ইলন মাস্কের স্পেসএক্সকে দিয়েছে নাসা। এর বিনিময়ে প্রায় ২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে স্পেসএক্স।
এদিকে নাসার এই সিদ্ধান্তে চটেছে প্রতিদ্বন্দ্বী মহাকাশ সংস্থা ব্লু অরিজিন। আমাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের এই সংস্থা এই নিয়ে আইনি লড়াইতেও নামে। নাসা-স্পেসএক্স-এর চুক্তির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ব্লু অরিজিন। মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সংস্থা।
আগের পরিকল্পনা
নাসা এর আগে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা একটি ‘গেটওয়ে’ মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছিল। পরে ২০২৮ সালের মধ্যে ক্রু-সহ মহাকাশযান চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণের ভাবনা ছিল।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের খামখেয়ালি ইচ্ছায় পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায় নাসার। তৎকালীন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ২০১৯ সালে ঘোষণা করে দেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ‘যেকোনও উপায়ে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মহাকাশে ফেরানো হবে।