মঙ্গলের মাটিতে সফল টেস্ট ড্রাইভ। শুক্রবার লাল গ্রহের মাটিতে প্রায় ৩৩ মিনিট ধরে চলল নাসার পার্সিভিয়ারেন্স।
শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী মঙ্গলের মাটিতে প্রথম ড্রাইভ-এর জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় নাসার নবতম মঙ্গলযান। পরিকল্পনা মতো ধীরে ধীরে এগোতে শুরু করে ছয়-চাকার মঙ্গলযান।
মঙ্গলের মাটিতে প্রথম যাত্রায় প্রায় ২১.৩ ফিট দূরত্ব অতিক্রম করেছে পার্সিভিয়ারেন্স। প্রথমে ৪ মিটার সোজা এগিয়ে চলে পার্সিভিয়ারেন্স-এর চাকা। মঙ্গলগ্রহের লাল ধুলোময় মাটিতে পড়তে থাকে টায়ারের ছাপ।
এরপর বাঁ দিকে ১৫০ ডিগ্রি ঘুরে যায় পার্সিভিয়ারেন্স। এবার ব্যাক-এ চলতে শুরু করে। প্রায় ২.৫ মিটার পিছিয়ে আসে যানটি।
নাসার মাটিতে পার্সিভিয়ারেন্স-এর এই টেস্ট ড্রাইভের GIF টুইট করেছে NASA । দেখুন অসাধারণ সেই ছবি।
তবে প্রথম দিন বলেই মাত্র ২১.৩ ফিট চলেছে পার্সিভিয়ারেন্স। নাসার জেট প্রোপালশান ল্যাবরেটরির পার্সিভিয়ারেন্স মোবিলিটি টেস্ট বেড ইঞ্জিনিয়ার আনাইস জারিফিয়ানের কথায়, 'এটি সূচনামাত্র। এবার আরও দূর দূর পাড়ি দেবে পার্সিভিয়ারেন্স।'
দিনে (মঙ্গল গ্রহের এক দিন) প্রায় ২০০ মিটার পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে পার্সিভিয়ারেন্স। নাসার আগের মঙ্গলযান কিউরিয়োসিটির থেকে এটি প্রায় পাঁচ গুণেরও বেশি।
তবে, মার্স মিশনের বিজ্ঞানী-প্রযুক্তিবিদদের সামনে রয়েছে আরও এক বড় চ্যালেঞ্জ। এবার রোভারটির সঙ্গে যুক্ত হেলিকপ্টার ড্রোনের উড়ানের পালা।
গত বছর ৩০ জুলাই মঙ্গলের দিকে পাড়ি দেয় পার্সিভিয়ারেন্স। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে ইতিহাস সৃষ্টি করে নাসার এই যান।
পার্সিভিয়ারেন্স-এর মিশনের মূল লক্ষ্য হল মঙ্গল গ্রহের মাটিতে প্রাণের খোঁজ। কোনও সময়ে মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা যাচাই করবে এই রোভার।
প্রায় ২ বছর ধরে মঙ্গলের মাটিতে গড়িয়ে চলবে পার্সিভিয়ারেন্স। এরপরেও সচল থাকবে নাসার যান।
পার্সিভিয়ারেন্স সাইজে অনেকটা SUV গাড়ির মতো। রয়েছে ৬টি চাকা, ৭ ফুটের রোবোটিক হাত, ১৯টি ক্যামেরা ও দুটি মাইক্রোফোন। এছাড়া আরও গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক ইক্যুইপমেন্ট তো রয়েইছে।
এখনও পর্যন্ত পৃথিবীকে প্রায় ৭,০০০টি ছবি পাঠিয়েছে পার্সিভিয়ারেন্স।