ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফের অ্যাকটিভ করা হবে। এমনই পরিকল্পনা টুইটারের নয়া মালিক ইলন মাস্কের। আর তাঁর এই ইচ্ছার জেরেই তুঙ্গে বিতর্ক। যদিও ইলনকে সমর্থনও করছেন কেউ কেউ। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হল টুইটারের প্রাক্তন সিইও-সহ প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি।
একের পর এর উস্কানিমূলক টুইট। তার জেরে অশান্তি, দাঙ্গা। ৬ জানুয়ারি ২০২১-এ তাঁর টুইটের জেরে ইউএস ক্যাপিটলে চলে দখলদারি, দাঙ্গা। শেষমেশ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছিল টুইটার।
তবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কাউকে চিরকালের জন্য ব্যান করা অনুচিত। এমনই ভাবনা জ্যাক ডরসি ও ইলন মাস্কের। এই ভাবনার পেছনে কারণ কী?
যে সময়ে ট্রাম্পকে ব্যান করা হয়েছিল, সেই সময়ে সিইও ছিলেন জ্যাক ডরসি। তিনি বলেন, কাউকে চিরতকে ব্যান করা সংস্থা হিসাবে আমাদের ব্যর্থতা। খুব বিশেষ কিছু কারণ, যেমন বেআইনি কার্যকলাপ চালানো, লোককে প্রতারণা করা ইত্যাদি ছাড়া কোনও অ্যাকাউন্ট ব্যান করার অধিকার কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের নেই।
জ্যাকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এক টুইটার ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, যদি বার, খেলার মাঠে খারাপ ব্যবহারের জন্য কাউকে ব্যান করা যায়, তবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও সেভাবে কেন ব্যান করা যাবে না?
এর উত্তরে জ্যাক ডরসি বলেন, 'টুইটার কোনও বার নয়।'
অর্থাত্ জ্যাকের কথায়, কোনও মন্তব্যের ভাল-খারাপের আইনি বিচার করার ক্ষমতা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের নেই। বাকস্বাধীনতার স্বার্থে তাই কাউকে চিরতরে ব্যান করার অধিকার তাঁদের নেই।
এই একই মর্মে বাকস্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল তুলেছেন নয়া মালিক ইলনও। সংস্থার মালিকানা কেনার সঙ্গে সঙ্গেই টুইটারকে আরও বেশি স্বচ্ছ ও বাকস্বাধীনতার স্থান হিসাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি।