চলতি মাসেই ভারতে 5G রোলআউট শুরু হয়েছে। Airtel-এর 5G Plus পরিষেবা নির্দিষ্ট কিছু শহরে শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে রিলায়েন্স জিও-ও দীপাবলির মধ্যে চারটি বড় শহর – দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা এবং চেন্নাইতে Jio True 5G চালু করার ঘোষণা করেছে।
যে শহরগুলিতে Airtel সবার আগে 5G চালু করছে, সেগুলি হল দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, নাগপুর, আহমেদাবাদ, শিলিগুড়ি এবং চেন্নাই। সংস্থা জানিয়েছে, গ্রাহকরা বর্তমান 4G প্ল্যানেই 5G গতির নেট পাবেন। এদিকে, জিও প্রাথমিকভাবে MyJio অ্যাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহকদের 5G টেস্টিংয়ের সুযোগ দেবে। আপাতত তা বিনামূল্যেই।
তবে এই শহরগুলিতে থাকলেই কি ৫জি পরিষেবা পাবেন? এমনটি কিন্তু নয়। শহরের প্রতিটি স্থানে এবং প্রত্যেকের কাছে ৫জি নেটওয়ার্ক পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে জিও এবং এয়ারটেল, দুই সংস্থাই আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই দেশব্যাপী ৫জি চালু করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে।
ফলে বর্তমানে কিছু সংখ্যক ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে ৫জি আপগ্রেডের সুযোগ দেওয়া হবে। এর জন্য আলাদা কোনও রিচার্জের প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যেই এই শহরগুলির অনেকে ফোনের টাওয়ারের বারে ৫জি দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ৩জি থেকে ৪জি আপগ্রেডের সময়েও এভাবে পর্যায়মাফিক রোলআউট করেছিল সংস্থাগুলি।
আমার 4G-ই যথেষ্ট, তাও 5G ফোন কিনব?
ভারতে Xiaomi, Realme, Vivo এবং Oppo-র মতো জনপ্রিয় ফোনের ইতিমধ্যেই বহু 5G ডিভাইস এসে গিয়েছে। তাছাড়া Samsung, Apple-এর মতো ব্র্যান্ডের নতুন ফোনগুলিও সব ৫জি। তাই এই পর্যায়ে যদি কেউ ফোন কেনেন, সেটি ৫জি হলেই ভাল। কারণ আগামিদিনে ধীরে ধীরে এই ৫জি-ই সাধারণ বিষয় হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে এখন ৪জি কিনলে পরে পস্তাতে হতে পারে। ভ ৫জি স্মার্টফোনের
কারণ বেশিরভাগ ব্যক্তিই গড়ে ২-৩ বছর ফোন ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে ৪জিতে আটকে থাকলে ১-২ বছরের মধ্যেই ফের আপগ্রেড করতে হবে। তাই আপাতত ৫জি ফোন কেনারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
উদাহরণস্বরূপ, এর আগে ৪জি আসার সময়েও অনেকে ৩জি ফোনে আটকে ছিলেন। কিন্তু পরে নেটের গতির এত পার্থক্য দেখে তাঁরাও আপগ্রেড করতে বাধ্য হন।