Paytm-এর শেয়ারবাজারে প্রবেশ। আর তার জেরে কোটিপতি হয়ে গেলেন ভারতীয় ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার সিদ্ধার্থ পান্ডে। শুধু তিনি নয়। একই ভাবে সংস্থার প্রায় ৩৫০ কর্মী এখন রাতারাতি কোটি টাকার মূল্যের শেয়ারের মালিক।
সিদ্ধার্থ জানালেন, ৯ বছর আগে তিনি পেটিএম-এ যোগ দেন। তখন কেউ পেটিএম-এর নাম শোনেনি সেভাবে। অন্য অনেক সংস্থায় সুযোগ পেয়েও এমন নতুন স্টার্ট আপেই যোগ দেন তিনি। তাঁর এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি হননি তাঁর বাবা। কিন্তু সিদ্ধার্থ সেই পেটিএম-এই চাকরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
Paytm-এর ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আইপিও হয়েছে। ভারতে শেয়ার বাজারের ইতিহাসে যা সর্বকালীন রেকর্ড।
তবে বছর ৩৯-এর সিদ্ধার্থ কিন্তু এখন আর পেটিএম-এ কাজ করেন না। বর্তমানে তিনি অন্য একটি স্টার্ট-আপে চাকরিরত। কিন্তু পেটিএম-এ ৭ বছর ধরে কাজের সময়ে বেতনের পাশাপাশি প্রচুর শেয়ার পেয়েছিলেন এসপ হিসেবে। সেই সময়ে সেই শেয়ারের কোনও দামই ছিল না বলতে গেলে।
কিন্তু এখন পেটিএম-এর এক একটি শেয়ারের দাম ২,১৫০ টাকা করে। সিদ্ধার্থ জানালেন, তাঁর সব শেয়ার বেচে দিলেই এখন প্রায় ৭ কোটি টাকারও বেশি পাবেন তিনি(কর প্রযোজ্য)।
'সেই সময়ে বাবা খুব রাগ করেছিলেন। বলেছিলেন পে টাইম আবার কী? একবার অন্তত নামকরা কোথাও চাকরি কর। লোককে বলাও যায় না ছেলে কী করে...' হাসতে হাসতে জানালেন সিদ্ধার্থ।
'আর এখন বাবা দারুণ উত্ফুল্ল। তবে যাতে টাকা পেয়ে মাথা না ঘুরে যায়, সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন,' বললেন তিনি।
সিদ্ধার্থ যখন Paytm-এ যোগ দিয়েছিলেন তখন এটি একটি ছোট পেমেন্ট কোম্পানি ছিল। সেখানে ১,০০০ জনেরও কম কর্মী ছিল। আজ ফার্মটিতে ১০,০০০-এরও বেশি কর্মচারী। ব্যাঙ্কিং, কেনাকাটা, সিনেমা এবং ভ্রমণের টিকিট থেকে শুরু করে গেমিংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিষেবা প্রদান করে।