নিরাপত্তার প্রশ্নে চিনা স্মার্টফোনের উপর ভরসা করা যায় না। তাই, চিনের কোনও সংস্থার তৈরি মোবাইল বা স্মার্টফোন কেনার আগে ভারতীয় ক্রেতাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত! কার্যত এই বার্তাই দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা স্যামসাংয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া শাখার সিইও জে বি পার্ক।
ইকোনমিক টাইমস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার সান জোসে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫ সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন পার্ক। সেই সময়েই সরাসরি চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে নিশানা করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট চিনা সংস্থাগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন স্যামসাং কর্তা। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা যখন ওই সমস্ত স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনও এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেন, তখন কি আদৌ ওই চিনা স্মার্টফোনগুলির উপর পুরোপুরি ভরসা করা যায়?
ভারতীয় গ্রাহকদের প্রতি জে বি পার্কের বার্তা, ভারতীয় গ্রাহকরা যখন স্মার্টফোনে তাঁদের ব্যক্তিগত এবং গোপন তথ্য ভরে রাখবেন, তার আগেই তাঁদের খুব গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে যে কোন সংস্থার তৈরি স্মার্টফোনকে তাঁরা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ভরসা করতে পারেন।
তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে ভারতের বাজারে স্যামসাংকে কড়া টক্কর দিচ্ছে বিভিন্ন চিনা স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থা। এক্ষেত্রে পার্কের বক্তব্য হল, একথা ঠিক যে চিনের ওই সংস্থাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঢালাও ব্যবহার শুরু করেছে। কিন্তু, তাঁর প্রশ্ন - এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দেদার ব্যবহার কি আদৌ গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা রক্ষার প্রশ্নে ভরসাযোগ্য?
পার্ক এটাও স্বীকার করেছেন যে ব্যবসায় সব প্রতিকূলতা যে তাঁদের সংস্থা জয় করতে পারছে, বা তাঁদের সংস্থা বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকছে, এমনটা নয়। কিন্তু, ভারতীয় গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা আজও পূরণ করতে সক্ষম স্যামসাং। তাদের বিভিন্ন পণ্য়ের মাধ্যমে এই চাহিদা পূরণ করছে স্যামসাং এবং সেক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি এআই প্রযুক্তির বর্তমান অবস্থাকে ইন্টারনেটের আগমনকালের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর মতে, আগামী দিনে এই প্রযুক্তি অনেক বেশি অগ্রসর এবং উন্নত হবে।
গ্রাহকের সংখ্যা আরও বাড়াতে এদেশের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে আরও বেশি করে পৌঁছতে চাইছে স্যামসাং। পার্ক জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে তাঁদের সংস্থার সার্ভিস সেন্টারের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ (৮০০) করা হবে।
এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হল, গ্রাহকরা যাতে একেবারে সামনে থেকে সেরা ও অত্য়াধুনিকমানের স্মার্টফোন পরিষেবা পেতে পারেন। এবং এক্ষেত্রেও স্যামসাং কর্তৃপক্ষ এআই প্রযুক্তিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জে বি পার্ক।