বুধবার চিনের টেলিকম সংস্থা হুয়াওয়েই টেকনোলডির দিল্লির দফতরে তল্লাশি চালায় কর বিভাগ। এছাড়াও গুরুগ্রাম, বেঙ্গালুরুতেও তাদের দফতরে চলেছে তল্লাশি অভিযান।
লাদাখ পরবর্তী সময়ে ভারতে চিনা বাণিজ্যের দাপট কমিয়ে, একাধিক পদক্ষেপ করেছে দিল্লি। এরপর সদ্য চিনের ৫৪ টি অ্যাপকে ভারত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। জানানো হয়, এই সমস্ত অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে রয়েছে নিরাপত্তা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন। এছাড়াও অ্যাপগুলিতে গুপ্তচরবৃত্তি ঘিরেও ছিল উদ্বেগ। এরপর , বুধবার চিনের টেলিকম সংস্থা হুয়াওয়েই টেকনোলজির দিল্লির দফতরে তল্লাশি চালায় কর বিভাগ। এছাড়াও গুরুগ্রাম, বেঙ্গালুরুতেও তাদের দফতরে চলেছে তল্লাশি অভিযান।
তল্লাশি অভিযানের বিষয়ে এই চিনা 'টেলিকম জায়েন্ট' জানিয়েছে, ‘আমাদের জানানো হয়েছিল যে আয়কর বিভাগের দল আমাদের পৃদফতর পরিদর্শন করবে। এছাড়াও জানানো হয়েছিল কয়েকজনের সঙ্গে তাঁরা বৈঠকও করবেন। ’ একইসঙ্গে সংস্থা জানিয়েছে যে, হুওয়ায়েই আত্নমবিশ্বাসী যে তাদের সংস্থার নীতি ভারতের আইনের ব্যবস্থাপনার আওতায় সঠিকভাবে চলছে। সংস্থা জানিয়েছে, এই কর কেন্দ্রিক তল্লাশি ঘিরে তারা সম্পূর্ণভাবে তল্লাশিকারী দবের সঙ্গে সহযোগিতা করবে আইন মেনে। এদিকে, সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, করফাঁকি ঘিরে এই তাবড় চিনা টেলিকম সংস্থার বিরুদ্ধে রয়েছে কিছু অভিযোগ। আর তার তদন্তেই এদিন সংস্থার তিনটি অফিসে চলেছে তল্লাশি। উল্লেখ্য, প্রযুক্তি হাব বেঙ্গালুরুর দফতরেও এই তল্লাশি চলেছে বলে খবর।
এর আগে, ৫৪ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। সদ্য নেওয়া এই পদক্ষেপে ওই চিনা অ্যাপগুলি থেকে দেশের নিরাপত্তায় আঘাত সংক্রান্ত একটি দিক উঠে আসে। উঠে আসে গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে অভিযোগও। এদিকে, ইতিমধ্যেই চিনা সংস্থা হুয়াওয়েই নিয়েও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি। গতবছরই জানানো হয়েছে যে ভারতের ফাইভজি ট্রায়ালে কোনওভাবেই হুয়াওয়েই অংশ নিতে পারবে না। এছাড়াও এর আগে শাওমি ও অপ্পোর মতো সংস্থাতেও একাধিকবার কর সংক্রান্ত তল্লাশি চলেছে।