১০ দিনের মিশনে গিয়ে ৫০ দিন হয়ে গিয়েছে, এখনও সুনীতাদের পৃথিবী ফেরার আশা নেই। বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের বড়সড় ত্রুটি বিরাট দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে। নাসা জানিয়েছে যে গত ৬ জুন থেকে সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই উপস্থিত রয়েছেন।
তাহলে কবে ফিরছেন উইলিয়ামসরা
আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসার এই দুই নভোচারীর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে ফিরতে ইতিমধ্যে এক মাসেরও বেশি সময় দেরি হয়ে গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা বোয়িং 'ক্যাপসুলের' সমস্যা সমাধান না করা পর্যন্ত উভয় মহাকাশচারীই আইএসএস-এ থাকবেন। বৃহস্পতিবার অধিকর্তারা এ তথ্যই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: (Dark Oxygen: সূর্যের আলো ছাড়াই তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩,০০০ ফুট নীচে ঘনাচ্ছে রহস্য)
পরীক্ষক পাইলট বুচ উইলমোর এবং সুনিতা উইলিয়ামসের স্পেস ল্যাবে প্রায় এক সপ্তাহ থাকার কথা ছিল। সব কাজ সেরে জুনের মাঝামাঝি সময়ে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু বোয়িং-এর নতুন স্টারলাইনার ক্যাপসুলে থ্রাস্টার ত্রুটি এবং হিলিয়াম লিকের কারণে, নাসা তাঁদের থাকার মেয়াদ বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। যদিও কিছু সময়ের জন্য।
আরও পড়ুন: (Union Budget 2024: বাজেটে আমদানি শুল্ক কমালো সরকার, ৪১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে Apple-র)
এ প্রসঙ্গে তথ্য দিতে গিয়ে নাসার বাণিজ্যিক ক্রু প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ বলেছেন, মিশন ম্যানেজাররা ফেরার তারিখ ঘোষণা করতে এখনই প্রস্তুত নন। ইঞ্জিনিয়াররা গত সপ্তাহে নিউ মেক্সিকো মরুভূমিতে একটি অতিরিক্ত থ্রাস্টারে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। 'ডকিং' এর সময় কী ভুল হয়েছে তা বের করার জন্য এবং পৃথিবীতে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অনবরত চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: (Wiz: গুগলের ১৭ লক্ষ কোটি টাকার অফার নাকচ করল এই ইজরায়েলি সংস্থা)
প্রসঙ্গত, ৬ জুন, প্রস্থানের একদিন পর, ক্যাপসুলটি মহাকাশ স্টেশনের কাছে যাওয়ার সময় তার পাঁচটি থ্রাস্টারে ত্রুটির চাপে পড়েছিল। এরপর থেকে চারটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। একটি এখনও গন্ডগোল করছে। স্পেস শাটল অবসর নেওয়ার পরে, নাসা মহাকাশচারীদের মহাকাশ স্টেশনে পরিবহনের জন্য বেসরকারী সংস্থাগুলিকে, বোয়িং এবং স্পেসএক্স-র সঙ্গে কাজ করছে।
এটি ছিল বোয়িং-এর প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইট, যার মধ্যে ক্রু ছিল। ২০১৯ সালে প্রাথমিক ডেমোতে, ফাঁকাই উড়েছিল বোয়িং, খারাপ সফ্টওয়্যারের কারণে এটি কখনওই স্পেস স্টেশনে পৌঁছোয়নি। এরপর ২০২২ সালে বোয়িং পরীক্ষাটি পুনরাবৃত্তি করেছিল। পরে আরও সমস্যা দেখা গিয়েছিল। স্পেসএক্স ২০২০ সাল থেকে মানুষকে মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছে।