আগামী মাসে নিজের সংস্থার তৈরী রকেটে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দেবেন আমাজন ও ব্লু অরিজিনের (Blue Origin) প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস (Jeff Bezos)। কিন্তু তাঁর এই কাজের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার মানুষ। 'ওঁকে মহাকাশেই রেখে দেওয়া হোক,' এই মর্মে পিটিশনে সই করলেন প্রায় ১ লক্ষ মানুষ।
জেফ বেজোসের মহাকাশ যাত্রা
আগামী ২০ জুলাই ব্লু অরিজিনের তৈরী পূনর্ব্যবহারযোগ্য রকেটে মহাকাশে পাড়ি দেবেন জেফ বেজোস। তাঁর সঙ্গে যাবেন ভাই মার্ক। 'নিউ শেপার্ড বুস্টার' (New Shepard booster)-এর মাধ্যমে মহাকাশে পাড়ি দেবেন তাঁরা। প্রথম মার্কিন নভোশ্চর অ্যালান শেপার্ডের নামে এই লঞ্চ ভিহেকলের নামকরণ।
অন্যদিকে তৃতীয় সিটটি নিলামে বিক্রি করে তাঁর সংস্থা। নাম-না জানা এক ধনকুবের তা ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২০৭ কোটি টাকারও বেশি।
নিলামে প্রাপ্ত পুরো টাকাটাই সমাজ সেবামূলক কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে।
জেফ বেজোসের সংস্থার উদ্দেশ্য
বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ 'ভ্রমণকে' জনপ্রিয় করতে চাইছেন জেফ বেজোস। গত ২০১৮ সালে এ বিষয়ে রয়টার্সে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে জানা যায়, নূন্যতম ২ লক্ষ মার্কিন ডলারে এক-একটি টিকিট বিক্রি করার পরিকল্পনা ব্লু অরিজিনের। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি।
বেজোসের বিরুদ্ধে পিটিশন
পিটিশনের সই সংগ্রহের ওয়েবসাইট change.org-এ রিক জি (Ric G) ইউজার নেমের এক ব্যক্তি একটি পিটিশন শুরু করেন। তাতে বলা হয়, 'পৃথিবীতে জেফ বেজোসকে ফিরে আসা থেকে আটকানো হোক।'

অন্যদিকে তৃতীয় সিটটি নিলামে বিক্রি করে তাঁর সংস্থা। নাম-না জানা এক ধনকুবের তা ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২০৭ কোটি টাকারও বেশি।
নিলামে প্রাপ্ত পুরো টাকাটাই সমাজ সেবামূলক কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে।
জেফ বেজসের সংস্থার উদ্দেশ্য
বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ 'ভ্রমণকে' জনপ্রিয় করতে চাইছেন জেফ বেজস। গত ২০১৮ সালে এ বিষয়ে রয়টার্সে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে জানা যায়, নূন্যতম ২ লক্ষ মার্কিন ডলারে এক-একটি টিকিট বিক্রি করার পরিকল্পনা ব্লু অরিজিনের। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি।
বেজসের বিরুদ্ধে পিটিশন
পিটিশনের সই সংগ্রহের ওয়েবসাইট change.org-এ রিক জি (Ric G) ইউজার নেমের এক ব্যক্তি একটি পিটিশন শুরু করেন। তাতে বলা হয়, 'পৃথিবীতে জেফ বেজসকে ফিরে আসা থেকে আটকানো হোক।'
|#+|
সেখানে আরও বলা হয়, 'বিলিয়নেয়ারদের অস্তিত্বই থাকা উচিত্ নয়। পৃথিবীতে তো নয়ই, মহাকাশেও নয়। আর মহাকাশে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তাঁদের থাকা অনুচিত্। গেলেও তাঁদের সেখানেই থেকে যাওয়া উচিত্।'
এখনও পর্যন্ত পিটিশনটিতে প্রায় ৭৫ হাজার জন সই করেছেন। বর্তমানে এটি ওয়েবসাইটটির অন্যতম ট্রেন্ডিং পিটিশন।
এর আগে কী বলেছিলেন জেফ বেজস
জুনের শুরুতেই নিজের মহাকাশযাত্রার বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জেফ বেজস। সেখানে তিনি বলেন, 'পাঁচ বছর বয়স থেকেই স্বপ্ন ছিল যে ভাইয়ের সঙ্গে মহাকাশে যাব। সারাজীবন আমি এটাই করতে চেয়েছিলাম। সেই স্বপ্নই পূরণ হতে চলেছে। আমার কাছে এটা ভীষণ বড় একটা পাওনা।'
তিনি আরও বলেন, 'পৃথিবীর বাইরে থেকে তাকে দেখা একটা ভিন্ন অনুভূতি। এটা মানুষকে একদম পাল্টে দেয়। সেই অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতেই আমি মহাকাশে যাচ্ছি।'