বকেয়া টাকা! পাকিস্তানে বন্ধ হচ্ছে Google Play Store-এর একটি পরিষেবা

পাকিস্তান(SBP) ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের(ISP) ডাইরেক্ট ক্যারিয়ার বিলিং(DCB) স্থগিত করেছে। সেই কারণেই প্লে স্টোরে এই সহজ পেমেন্টের সুবিধা সেখানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

ছবি: রয়টার্স (Reuters)

আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানে গুগল প্লে স্টোরের ব্যবহারকারীরা আর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ কিনতে DCB পেমেন্টের সুবিধা পাবেন না। সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান(SBP) আন্তর্জাতিক পরিষেবা প্রদানকারীদের(ISP) ডাইরেক্ট ক্যারিয়ার বিলিং(DCB) স্থগিত করেছে। সেই কারণেই প্লে স্টোরের এই সুবিধা সেখানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সম্ভবত কার্ডে পেমেন্টে জোর দিতে এই সিদ্ধান্ত। 

ISP কী?

এক্ষেত্রে ISP-র পুরো শব্দটা হল ইন্টারন্যাশানাল সার্ভিস প্রোভাইডার। এটি এমন একটি সংস্থা যারা ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানদের ইন্টারনেট ও আনুষাঙ্গিক পরিষেবা দেয়। অ্যাপ, ইমেল, ক্লাউড, ই-কম্পিউটিংয়ের মতো সুবিধাও দেয় এই ধরনের সংস্থাগুলি।

DCB কী?

ডাইরেক্ট ক্যারিয়ার বিলিং (DCB) একটি অনলাইন মোবাইল পেমেন্ট পদ্ধতি। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অনলাইনে কিছু কিনতে পারেন। এদিকে তার বিলটা কাটা হবে মোবাইল ফোনের সংযোগের ব্যালেন্স থেকে।

ধরুন আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে টাকার বিনিময়ে একটি প্রিমিয়াম অ্যাপ কিনলেন। কিন্তু সেই পেমেন্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার না করে DCB করলেন। বিল যোগ হবে আপনার এয়ারটেল/ভোডাফোন আইডিয়ায়। আপনার প্রিপেড রিচার্জে ৫০০ টাকার টকটাইম ব্যালেন্স থাকলে এবং ১০০ টাকার অ্যাপ কিনলে, সেই ব্যালেন্স থেকেই টাকাটা কাটা হবে। আপনার কাছে আর ৪০০ টাকা পড়ে থাকবে। আবার অনেক সংযোগ প্রদানকারী পোস্টপেড বিলেও সেই টাকা যোগ করে।

পাকিস্তানের ব্যাপারটা কী?

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তের ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। মোবাইল সংযোগ প্রদানকারী সংস্থাগুলির থেকে বিভিন্ন ISP-র প্রাপ্য প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া রয়ে গিয়েছে।

এর ফলে Google, Amazon এবং Meta-র মতো সমস্ত সংস্থাগুলি প্রভাবিত হচ্ছে। পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও ভাবছে তারা।

নয়া নিয়মে পাকিস্তানি গ্রাহকরা শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। কিন্তু কার্ডের সুবিধা এখনও খুব কম গ্রাহকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ফলে বেশিরভাগ মোবাইল ব্যবহারকারীই গুগল প্লে স্টোরে পেইড অ্যাপ ডাউনলোড করা থেকে বঞ্চিত হবেন।

এই পরিস্থিতিতে মোবাইল সংযোগ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে। তাতে এই সিদ্ধান্তের ফলে সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।