Social Media Account Verification: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মদের স্বেচ্ছায় অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করার সুপারিশ করল কেন্দ্র। তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২-এর অধীনে এটি করা হবে। অর্থাত্ শুধুমাত্র সেলিব্রেটি বা সুপরিচিত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট নয়। সমস্ত ব্যবহারকারীদেরই অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে। ব্যাপারটা অনেকটা ফেসবুক-টুইটারের ব্লু-টিক অ্যাকাউন্টের মতো।
রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে, কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য খুব সহজ। ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত, নিরাপদ, বিশ্বস্ত এবং জবাবদিহি দিতে প্রস্তুত, এমন একটি ইন্টারনেট নিশ্চিত করাই কেন্দ্রের লক্ষ্য।
'সরকার ভুল তথ্য, বট, অপরাধ এবং সামগ্রিকভাবে ব্যবহারকারীদের ক্ষতির ঘটনাগুলির বিষয়ে ওয়াকিবহাল। এর থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি এবং বিপদ সম্পর্কে সচেতন কেন্দ্র,' বলেন তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে খবর, কেন্দ্র ফেক নিউজ এবং বেআইনি তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে ফেসবুক এবং টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাদের 'দায়বদ্ধ' করার একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে। এটি আইটি আইনের অধীনে বিধিগুলির প্রস্তাবিত সংশোধনীর একটি অংশ হতে পারে।
গত মাসেই কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে, এমন বেশ কিছু নিয়মের সংশোধন করার প্রস্তাব ফিরিয়ে আনে। নয়া প্রস্তাবনার অংশ হিসাবে একটি নতুন, সরকার নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ কমিটির ভাবনাও রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আলোচনার মাধ্যমে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ধরণের বিষয়বস্তু থাকবে বা ডিলিট করা হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। টুইটার এবং ফেসবুকের মত ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলি প্রযোজ্য হবে।
ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১-এ নয়া আইটি নীতির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। নয়া নিয়মে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে কনটেন্টের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ গ্রহণ এবং তার সমাধানের জন্য একজন অফিসারের অধীনে একটি অভিযোগ প্রতিকারের ব্যবস্থা স্থাপন করতে বলা হয়।
সমস্ত সংস্থা নয়া নীতি মেনে নিলেও টুইটারের সঙ্গে নয়া আইটি নীতি নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। তবে বেশিরভাগ সংস্থাই এরপর থেকে নিয়ম মেনে রিপোর্ট প্রকাশ করাও শুরু করে। তাতে মোট কতগুলি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তার উল্লেখ করে সংস্থাগুলি। এর ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও বিতর্কের ক্ষেত্রে সামগ্রিক অবস্থান কী নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে তথ্য ও নিয়ন্ত্রণ থাকছে সরকারের হাতে।