হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ফোন অনায়াসে হ্যাক হয়ে যেতে পারে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি টেলিগ্রাম অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা পাভেল দুরভের। তাঁর দাবি, কোনও ব্যক্তির ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ থাকলে সেই ফোনের যাবতীয় তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। টেলিগ্রামে একটি পোস্ট করে পাভেল দাবি করেন, হোয়াটসঅ্যাপ গত সপ্তাহে নিজেরাই একটি নিরাপত্তা জনিত সমস্যার কথা প্রকাশ করেছিল। এই আবহে নেটিজেনদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে আবেদন জানান টেলিগ্রামেপ প্রতিষ্ঠাতা।
টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা দাবি করেন, ‘আপনার ফোন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে শুধুমাত্র একটি ভাইরাস ভিডিয়ো পাঠাতে হবে হ্যাকারকে। বা হোয়াটসঅ্যাপে আপনার সঙ্গে একটি ভিডিয়ো কল শুরু করেও হ্যাকার সেই ফোন হ্যাক করতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপের এই একই ধরনের নিরাপত্তা জনিত সমস্যা প্রকাশ্যে এসেছিল ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে। এর আগে ২০১৭ সালেও এই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। হোয়াটসঅ্যাপের কোনও এনক্রিপশনই ছিল না সেই সময়।’
এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরেও পাভেল নেটিজেনদের ‘সতর্ক’ করেছিলেন হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে। গোপনীয়তা রক্ষা করতে অবিলম্বে স্মার্টফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে পাভেল দাবি করেন, হোয়াটসঅ্যাপের নয়া নীতির ফলে ব্যবহারকারীর যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুকের হাতে চলে যাবে। এদিকে পাভেলের দাবি, তিনি তাঁর অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রচার করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এই সব দাবি করছেন না।
পাভেল বলেন, ‘আমাদের ৭০০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন। রোজ নতুন রে ২ মিলিয়ন মানুষ টেলিগ্রাম ডাউনলোড করছেন। আমাদের নতুন করে প্রচার লাগবে না। আপনারা যেকোনও মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবেন না। গত ১৩ বছর ধরে হোয়াটসঅ্যাপ একটি নজরদারি অ্যাপ হিসেবে কাজ করে আসছে।’