স্টার ট্রেকের ক্যাপ্টেন কার্কের চরিত্র বিশ্বখ্যাত। জনপ্রিয় টিভি সিরিজে মহাকাশ ভ্রমণ করেছিলেন উইলিয়াম শ্যাটনার। সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিল ৩৫ বছর। অবশেষে বাস্তবেও মহাকাশে পৌঁছলেন তিনি। ৯০ বছর বয়সে প্রবীণতম নভোশ্চর হিসাবে মহাকাশে ঘুরে এলেন। সৌজন্যে আমাজন কর্তা জেফ বেজোসের রকেট সংস্থা ব্লু অরিজিন।
১০ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের সময়জুড়ে শাটনার-সহ ৪ জন ক্রু রকেটে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৬৫.৮ মাইল উচ্চতায় পাড়ি দেন। মহাকাশে প্রায় ৪ মিনিটের ভারশূন্যতা উপভোগ করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে মডিউলের জানলা দিয়ে চাক্ষুস করলেন মহাকাশ থেকে পৃথিবীর রূপ। তারপর ফিরে এলেন পৃথিবীতে।Blue Origin

টিকিট কাটলে যে কেউ মহাকাশে যেতে পারবেন। তার জন্য চূড়ান্ত শারীরিক সক্ষমতা বা কঠিন প্রশিক্ষণে পাশ করতে হবে না। এই ভাবনাকেই যেন আরও একবার তুলে ধরল ব্লু অরিজিন। ৯০ বছরের বৃদ্ধ যদি মহাকাশে যেতে পারেন, তাহলে সকলের পক্ষেই তা সম্ভব।
শাটনারের সঙ্গী হিসাবে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ধনকুবের ক্রিস বসুইজেন, মাইক্রোবায়োলজিস্ট গ্লেন ডি ভ্রিস এবং ব্লু অরিজিনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক অড্রে পাওয়ার।
পৃথিবীতে পা রেখেই জেফ বেজোসকে আলিঙ্গন করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। নিজের অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।
দেখুন ভিডিয়ো:
এটি ব্লু অরিজিনের দ্বিতীয় মনুষ্যবাহী ফ্লাইট। প্রথম উড়ান ছিল চলতি বছর ২০ জুলাই। জেফ বেজোস, তাঁর ভাই মার্ক, ৮২ বছর বয়সী বিখ্যাত মহিলা বিমান পাইলট ওয়ালি ফাঙ্ক এবং ডাচ কিশোর অলিভার ডেইমেন প্রথম উড়ানের ক্রু হিসাবে ছিলেন। 'নিউ শেপার্ড বুস্টার' (New Shepard booster)-এর মাধ্যমে মহাকাশে পাড়ি দেন তাঁরা। প্রথম মার্কিন নভোশ্চর অ্যালান শেপার্ডের নামে এই লঞ্চ ভিহেকলের নামকরণ।
জেফ বেজোসের সংস্থার উদ্দেশ্য
বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ 'ভ্রমণকে' জনপ্রিয় করতে চাইছেন জেফ বেজোস। গত ২০১৮ সালে এ বিষয়ে রয়টার্সে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে জানা যায়, নূন্যতম ২ লক্ষ মার্কিন ডলারে এক-একটি টিকিট বিক্রি করার পরিকল্পনা ব্লু অরিজিনের। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি।