৮০০ কোটি টাকার বিনিময়ে একটি হোটেল চেনের কাছ থেকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি পতৌদি প্যালেস নতুন করে কেনার খবর অস্বীকার করলেন সইফ আলি খান। অভিনেতার কথায় পতৌদি প্যালেসের মূল্য আঁকা কোনও সম্ভব নয়, কারণ ওটি ‘দুর্লভ’ এবং ৮০০ কোটি টাকার বিষয়টি ‘অতিরঞ্জিত’।
একটি সাক্ষাত্কারে সইফ বলেন- তিনি আগের থেকেই ওই সম্পত্তির মালিক ছিলেন, তাই নতুন করে সেটি নীমরানা গ্রুপের কাছ থেকে কেনার প্রশ্ন উঠে না। তবে নির্দিষ্ট কিছু আর্থিক লেনদেন করতে হয়েছিল এটা সত্যি।
পতৌদি থেকে সম্প্রতি মুম্বইতে ফিরেছেন সইফ।লাল সিং চড্ডার শ্যুটিংয়ের কাজে দিল্লিতে গিয়েছিলেন করিনা। সেই সময় পতৌদির প্যালেসেই ছিলেন সইফ-তৈমুর। মুম্বই মিররকে সইফ বলেন পতৌদি প্যালেসের যে মূল্য অর্থাত্ ৮০০ কোটি টাকার কথা বলা হচ্ছে সেটা 'মারাত্মক অতিরঞ্জন'। সঙ্গে তারকা যোগ করেন এই সম্পত্তির কোনও নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করা কার্যত অসম্ভবপর কারণ পতৌদির প্যালেসের সঙ্গে অনেক আবেগ, অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ‘আমার বাবা-ঠাকুরদাদের কবর রয়েছে ওখানে, ওই জয়গার পবিত্রতা আমার কাছে অন্যরকম- একটা আধ্যাত্মিক যোগ আছে ওই জমির সঙ্গে। ওই জমিটা তো কয়েক শ’ বছর ধরে আমাদের সম্পত্তি, তবে ওই হাভেলিটা আমার ঠাকুরদা (ইফতিকার আলি খান) বানিয়েছিলেন ঠাকুমার জন্য- ওটার বয়স একশো বছর। ওই সময় উনি পতৌদির নবাব ছিলেন- তবে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে নবাবি প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বাবা যখন ওই প্যালেস লিজে দিয়েছিল তখন অমন(নাথ) এবং ফ্রান্সিস (ওয়াকজিরাং) সেই হোটেল চালাতো। ওরা একেবারেই আমাদের পরিবারের মতো। আমার মায়ের সেখানে আলাদা কটেজ ছিল, উনি যে কোনওসময় সেখানে যেতে পারতেন', জানান সইফ আলি খান।
হরিয়ানার গুরুগ্রাম জেলায় অবস্থিত পতৌদির এই প্রাসাদ, অনেকেই একটা ইব্রাইম কোঠি বলেও উল্লেখ করে থাকেন। ১০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই এই প্রাসাদে রয়েছে ১৫০টি কক্ষ।
সইফ বলেন বাবার মৃত্যুর পর তিনি ওই প্যালেসটি ফিরে পেতে চেয়েছিলেন। তাই যখন নীমরানা গ্রুপের তরফে তাঁকে অফার দেওয়া হয়- তিনি সেটা কোনওভাবেই হাতছা়ড়া করেননি। লিজের সময় বাকি থাকায়, নিঃসন্দেহে তাঁকে কিছু টাকা মেটাতে হয়েছিল। আর্থিক লেনদেন তো অবশ্যই হয়েছিল সেটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে তিনি আগের থেকেই ওই সম্পত্তির মালিক ছিলেন, তাই নতুন করে কিনে নেওয়ার প্রশ্ন উঠে না।
পতৌদি প্যালেসের বেশ কিছু অংশ শ্যুটিংয়ের জন্য এখনও ভাড়া দেওয়া হয়, জানান সইফ। যাতে সেটা মেনটেইন করা সম্ভবপর ও সহজ হয়।
ফ্রান্সিস ওয়াকজিরাং এবং অমন নাথ যৌথভাবে মনসুর আলি খান পতৌদির থেকে ১৭ বছরের জন্য লিজে পতৌদির প্যালেসটি নিয়েছিলেন হোটেল ব্যবসার জন্য। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দ্য পতৌদি প্যালেস হোটেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এরপর সেটি সইফ পুনরুদ্ধার করে নেন।