মার্কিন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ের প্রাক্ মুহূর্তে সেদেশের সংসদ ভবনে হামলা চালালেন তাঁর সমর্থকরা। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় ব্যারিকেড ভেঙে ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। এর পর সেখানে রীতিমতো তাণ্ডব চালান তাঁরা। এই ঘটনায় গুলিতে ৪ ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে।
বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে জো বাইডেনের নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছিল। তখন ক্যাপিটল ভবন (মার্কিন সংসদ)-এর বাইরে জমা হন ট্রাম্প সমর্থকরা। ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তাদের মধ্যে ছিল বেশ কয়েকটি চরমপন্থী সংগঠনও। কিছুক্ষণ পর পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তাদের সামাল দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করেন পুলিশকর্মীরা।
ঘটনাস্থলেই এক মহিলার মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও তিনজনের। সংঘর্ষ চলাকালীন মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভের সদস্যদের সেখান থেকে বার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। মুলতুবি হয় অধিবেশন। মুলতুবি করতে হয় মার্কিন সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটের অধিবেশনও। সেনেটের সভাপতিত্ব করেন সেদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি মাইক পেন্স। তাঁকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। বাকি সদস্যদের গ্যাস মাস্ক পরতে বলা হয়। এই পরিস্থিতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে।
বুধবারের ঘটনার জন্য ট্রাম্পের উসকানিমূলক মন্তব্যকেই দায়ী করছেন অনেকে। এদিন হোয়াইট হাউজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তদের উদ্দেশে এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘ভোট চুরি করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ গত নভেম্বরে হারের পর থেকেই এই দাবি করে আসছেন ট্রাম্প। প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখায় ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িক নিষ্ক্রিয় করেছে ফেসবুক, টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম।